জুমবাংলা ডেস্ক : ছবিতে লোকটার হাতে যে বস্তুটি দেখছেন সেটি কিন্তু কোনো ডল পুতুল নয়। উলঙ্গ নারীদের মতো দেখতে হলেও এটি আসলে এক ধরনের ফল। আর এই ফলটি জন্মে থাইল্যান্ডে। সত্যি প্রকৃতি যে কত রহস্যময় তা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন!
দাবি করা হচ্ছে, থাইল্যান্ডের একটা গ্রামে পাওয়া যায় এসব বিচিত্র ও পবিত্র ফল। সম্প্রতি স্যোসাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে গাছে ঝুলন্ত এই নারীফলের ছবি। সেখানে আরো দাবি করা হয়েছে, পুরানের গল্প সত্যি হয়েছে। জঙ্গলের এক গাছে ফলেছে নারী ফল। ছবিতে দেখা যায়, নারী ফলের ভারে গাছের ডালগুলো নুয়ে পড়ছে। যদিও ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেকেই এই ঘটনাকে বিশ্বাস করতে চাননি।
আসলে এই নারীফলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ পুরাণের একটি গল্প। থাইল্যান্ডের ফকলোর বিভাগ জানাচ্ছে, ‘হিমাফন’ বলে এক জঙ্গলে বৌদ্ধদের দেবতা ইন্দ্র পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তার স্ত্রী ভেসানতারা একদিন খাবারের সন্ধানে জঙ্গলে বের হলে কয়েকজন পুরুষ তাকে আক্রমণ করে। নারীদেহ দেখেই সেই পুরুষদের হিংসাত্বক প্রবণতা প্রকাশ পায়। এই ঘটনার পর ইন্দ্রদেব অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন। তিনি জঙ্গলে ১২টি গাছ তৈরি করেন। তার নাম দেন ‘নরিফোন’। সেই গাছগুলোতে নারীর দেহের আকারে ফল ফলাতে শুরু করে।
নারীর মুখ ভেসানতারার আদলেই তৈরি হয় ওই ফলের মুখ। এরপর থেকে ভেসানতারা খাবারের সন্ধানে বেরোলে সেই কামুক পুরুষ প্রাণিরা বিভ্রান্ত হয়ে যেত ফলগুলো দেখলেই। তারা ভাবত ফল নয়, এগুলিই আসল ভেসানতারা। আর সেই সুযোগে ইন্দ্রের স্ত্রী নিরাপদে ঘরে ফিরতেন। এখানেও শেষ নয়। সেই ফলগুলি তারা নিজেদের ঘরে নিয়ে গিয়ে সেগুলোকে সম্ভোগ করত। তারপর টানা চারমাস তারা একটানা ঘুমিয়ে থাকত এবং দুর্বল হয়ে যেত তাদের সমস্ত শক্তি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।