নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানার এলাকার পৃথক দুটি স্থান থেকে সুমাইয়া খাতুন (১৫) ও রাদিয়া আক্তার (১২) দুই কিশোরী শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর জিএমপি গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন। এর আগে সকালে গাছা থানার বটতলা ও হারিকেন এলাকা থেকে ওই দুই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সুমাইয়া পিরোজপুর ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর পৌতখালি এলাকার মোস্তফা আকন্দদের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাবা মায়ের সঙ্গে সে গাছা থানাধীন বটতলা এলাকায় বসবাস করতো। অন্যদিকে, নিহত রাদিয়া অপরজন কিশোরগঞ্জের মিঠামাইন এলাকার সালামের মেয়ে। সে মহানগরীর একই থানাধীন হারিকেন এলাকায় বাবা মায়ের সঙ্গে সোহেলের বাসায় ভাড়া থেকে একটি নুরানি মাদরাসায় পড়ালেখা করতো।
নিহত সুমাইয়ার বড় ভাই সোহাগ হোসেন বলেন, আমার ছোট বোন খুবই আদরের। ও অনেক ভালো স্টুডেন্ট ছিল। এবার এসএসসি পরীক্ষা দিবে। আমি গ্রামে থাকি আর ও মা-বাবার সঙ্গে গাজীপুরে থাকে। কত স্বপ্ন ছিল তাকে নিয়ে। কিন্তু খবর পাই ও ফাঁস নিয়েছে। কেন ফাঁস নিলো আমরা কেউ বুঝতে পারছি না।
নিহত রাদিয়া আক্তারের বাবা সালাম বলেন, আমি ঢাকায় মাছ ব্যবসা করি। মেয়ে আমার স্থানীয় একটি নুরানি মাদরাসায় পড়তো। সকালে ওর মা রুম খুলতে গেলে ভেতর হতে দরজা লাগানো পায়। পরে পুলিশ ও বাড়ির লোকজন দরজা খুলে দেখতে পায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। এতো ছোট মেয়ে কেন ফাঁসি নিবে ভেবে কুল পাচ্ছি না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।