নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বিভিন্ন এলাকায় গোখাদ্য হিসেবে ব্চ্ছে কারখানার উচ্ছিষ্ট ও পরিত্যক্ত তুলা। উপজেলার কালিয়াকৈর চাপায়ের সুত্রাপুর ফুলবাড়িয়া আটা বহ মধ্যপাড়া মৌচাক বোয়ালিসহ উপজেলা সর্বত্রই তুলা ব্যবসায়ীরা গরুকে খাওয়ানোর জন্য এসব তোলা বিক্রি করে আসছে।
ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকায় বিশাল আকারে গোডাউন স্থাপন করে কারখানার পরিত্যক্ত জোট কিনে নিয়ে মেশিন দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে এসব তোলা উৎপাদন করছে। এসব ময়লাযুক্ত তোলার মধ্যে কারখানার সই সহ না প্রকার দ্রব্য মিশে থাকে। দুলা ব্যবসায়ীরা এসব মজা যুক্ত ফেটে ধুলাবালি দের কাছে বিক্রি করে থাকে।
এসব তুল তুলা খাওয়ালে গরুর সাধারণত প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায়,বদহজম, এসিডোসিস, কিডনি সমস্যাসহ গরুর শরীরে পানি জমার মতো রোগ হতে পারে। এছাড়াও গরু মোটাতাজা করন ব্যবহার করা হচ্ছে স্টেরয়েড জাতীয় ইঞ্জেকশন।। আর এসব রোগাগ্স্থ গরুর মাংস মানুষ খেলে লিভার কিডনি ক্যান্সার কৃত যন্ত্র হার্ট এটাক মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত সহ ভয়ঙ্কর কিছু রোগ হতে পারে।
গরুরে তুলা খাওয়ায়ে খামারিরা সাময়িক লাভবান হলেও এসব তোলা খাওয়ানো গরুর মাংস খেয়ে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে মানব জীবন।
কা। এতে খামারিরা সাময়িক লাভবান হলেও পশুর স্বাস্থ্যহানি ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে। আর ওই সব পশুর মাংস খেয়ে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে মানুষের জীবন।
মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি জানাই তোলা খাওয়ানোর গাভীর দুধ খাওয়ার সময় এক ধরনের গন্ধ পাওয়া যায় গন্ধের কারণে দুধ খাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠে এছাড়া তোলা খাওয়ানো গরুর মাংস সুস্বাদু হয় না। আর ঘাস খাওয়ানো গাভীর দুধ খেতে খুব সুস্বাদু এর মাংস খুব খেতে ভালো লাগে।
স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা তৈরি না হওয়া ও গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে এর ব্যবহার। অনেকেই তুলা খাবার হিসেবে ব্যবহার করলে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য ভালো হয়- এমন ভ্রান্ত ধারণা থেকেও এ ধরনের খাবার খাওয়াচ্ছেন গবাদিপশুকে। তবে, খামারিরা বলছেন, ঘাসের সংকট থাকায় তারা গোখাদ্য হিসেবে তুলা ব্যবহার করছেন। তাদের দাবি, তুলা খাওয়াল গরু সহজেই মোটাতাজা হয়।
এব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মিজানুর রহমান জামায় তুলা খাওয়ালে গরুর অনেক অসুখ দেখা দিতে পারে এমনকি গরুর শরীরে পানি জমতে পারে। এ সমস্ত অসুস্থ গরু মাংস মানুষ খাওয়া ঠিক হবেনা। এলাকায় যারা পশুর খাদ্য হিসেবে তুলা বিক্রির সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার আইনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
এখনই গোখাদ্য হিসেবে মহিলা যুক্ত তুলা নিষিদ্ধ না হলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে মানবস্বাস্থ্য- এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.