জুমবাংলা ডেস্ক: গাজীপুর জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৭৭৬টি। প্রধান শিক্ষক দ্বিতীয় শ্রেণি অনুমোদিক পদ সংখ্যা ৭৭৪টি এবং সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিক পদ সংখ্যা ৭ হাজার ৪৬৩। গাজীপুরে ১৬১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই কোনো প্রধান শিক্ষক। সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন স্কুলগুলোতে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা।
গাজীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, ১৬১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে কেউ মারা গেছেন, আবার অনেকেই অবসরে চলে গেছেন। যে কারণে এ পদগুলো শূন্য দীর্ঘদিন ধরে। এর মধ্যে গাজীপুর সদর উপজেলায় শূন্য আছে ৩৪টি, কাপাসিয়ায় ৩০টি, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৪৮টি, কালিয়াকৈর উপজেলায় ১৭টি ও শ্রীপুর উপজেলায় ৩২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষকের এসব শূন্য পদ আর পূরণ করা হয়নি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী শিক্ষকরা।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। ফলে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি চলে যায় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে। পরে নিয়োগ বিধিমালা, সহকারী শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতাসহ নানা কারণে পদোন্নতি বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে পিএসসির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি প্রধান শিক্ষক পদে সরকার নিয়োগ দেবে। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্য জেলার মতো গাজীপুরের ১৬১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সহকারী শিক্ষকেরা প্রশাসনিক কাজ করতে গিয়ে ক্লাসে নিয়মিত অংশ নিতে পারেন না। এতে বাকি শিক্ষকদের ওপর চাপ পড়ছে। কোনো মতে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। তাছাড়া অনেক সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে মূল্যায়ন না করায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানান তাদের অনেকে।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির গাজীপুর শাখার সভাপতি দেওয়ান আরিফ বলেন, প্রায় ৬-৭ বছর ধরে সহকারী থেকে প্রধান শিক্ষক পদে কোনো পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না। তাই এমন সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করায় অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পাঠদান ও সার্বিক কার্যক্রম চালাতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
গাজীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদ ভূইয়া বলেন, গাজীপুরের ১৬১টি বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক নেই। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি আগামী দুই মাসের মধ্যে সবগুলো বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।