জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পরিকল্পনা আড়ালে রহস্যজনক কারনে স্থগিত হয়ে গেছে। এতে স্থানীয় জনগণের মধ্যে জোরালো উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, কারণ এর ফলে সরকারি সম্পত্তি আরও বিপজ্জনকভাবে দখল হতে পারে। গত সপ্তাহের শুরুতে গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্থায়ী ও অস্থায়ী সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য ৩০ এপ্রিল তারিখে অভিযান পরিচালনার কথা ছিল। কিন্তু, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার অভাবে সেই অভিযান চালাতে পারেনি।
গাজীপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ এবং রহস্যজনক স্থগিত
গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, উচ্ছেদ অভিযানটি তাদের পরিকল্পনায় ছিল তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতির কারণে অভিযানটি স্থগিত করতে হয়েছে। গাজীপুর সড়ক বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন এ বিষয়ে বলেন, “আজ উচ্ছেদ অভিযান হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাইনি। তবে, যারা অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেছেন, তারা নিজেদের উদ্যোগে সরিয়ে নিতে বলেছে।”
নিউজের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই স্থগিতাদেশের পেছনে রাজনৈতিক কারণে দুর্বলতা রয়েছে। খবর পাওয়া গেছে যে, বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবে প্রশাসনের এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনগণ। এটি স্পষ্ট করে তোলে যে অবৈধ স্থাপনার মালিকরা যদি রাজনৈতিক শেল্টার পান, তবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে।
গাজীপুরের এলাকায় পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। গত বছরের আগস্টের পর থেকে অন্তত দুইশতাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার শরিফুল আলমের অফিসে সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির সিনিয়র কর্মকর্তা ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে দেনদরবারের কারণে উচ্ছেদ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এর ফলে দখলদাররা আরও সুযোগ পাচ্ছে তাদের স্থাপনা স্থায়ীকরণের জন্য।
স্থানীয় জনগণের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় জনগণের মতামত জানা গেছে, তারা এই অবস্থা নিয়ে বেশ চিন্তিত। ২৫ বছর বছরের পরে সরকারি জমির ওপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা যখন সুরক্ষিত হয় এবং প্রশাসন কোনও কার্যক্রম গ্রহণ করে না, তখন সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়। স্থানীয় এক যুবক জানান, “আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে তারা অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।”
প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তারা জানিয়েছে, অবৈধ স্থাপনা উদ্বোধন করে নিজেদের ব্যবসা চালানো তাদের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এটি প্রতীয়মান হচ্ছে যে, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর যথাযথ উদ্যোগ নিতে পারছে না। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি কার্যত একটি সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে সরকারের কর্তব্য পালনের বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
জনগণের মধ্যে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা বাড়ছে। স্থানীয় নেতা ও পেশাজীবীরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছেন যাতে তারা বিপজ্জনক এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করে। স্থানীয় সরকারকে তাই চালিত করা দরকার যাতে সব নাগরিকের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়।
সমাজের নীতি নির্ধারকদের কাছে মানুষের এসব আশঙ্কা যখন উচ্চারিত হচ্ছে, তখন তাদের উচিত এ বিষয়ে জোরদার পদক্ষেপ গ্রহণ করা। মানুষের নিরাপত্তা এবং জনগণের আর্থিক স্বার্থের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের প্রধান দায়িত্ব।
এখন সময় এসেছে জনগণের মতামত ও দাবি-পালা নিয়ে সংকল্পবদ্ধ হওয়ার, অন্যথায় এই জাতীয় সমস্যাগুলি অব্যাহত থাকবে।
1. গাজীপুরের অবৈধ স্থাপনা কি ধরণের?
গাজীপুরের অবৈধ স্থাপনাগুলো সাধারণত সরকারী জমির উপর নির্মিত এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে।
2. গাজীপুরের সরকারী কর্মকর্তারা কেন অভিযান স্থগিত করেছেন?
অভিযানটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটের অনুপস্থিতির কারণে স্থগিত করা হয়েছে, যা প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয়।
3. স্থানীয় জনগণের প্রতিক্রিয়া কেমন?
স্থানীয় জনগণ এই স্থগিতাদেশে খুব চিন্তিত এবং অনড় অবস্থানে আছেন, কারণ তারা অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ আশা করছেন।
4. অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করলে কি হবে?
যদি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করা হয়, তবে তা দীর্ঘমেয়াদীভাবে জনগণের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
5. প্রশাসন কি কোনো ব্যবস্থা নেবে?
এমনটি নিশ্চিত নয়; তবে, স্থানীয় জনগণ তাদের দাবি সরকারের কাছে উত্থাপন করেছে যতটুকু সম্ভব সমস্যা সমাধানের জন্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।