নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : শিক্ষক রাসেলকে বেদম পিটুনির পর তাকে মাটিতে ফেলে রাখে ইমরান মণ্ডল। পরে তার সঙ্গে থাকা বন্ধুরা দ্বিতীয় দফায় পিটুনি দেয়। এক পর্যায়ে মাথায় আঘাতের পর শিক্ষক রাসেলের মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ ফেলে রেখে বাড়িতে চলে যায় ঘাতকের দল। খালের পাড়ে পড়ে থাকে রাসেলের লাশ আর ইমরান দিব্যি বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল বেলায় অনেকটা প্রকাশ্যেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় সে।
গাজীপুরের শ্রীপুরের শিক্ষক রাসেল রানা হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইমরান মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের পর সে পুলিশকে এমন তথ্যই দিয়েছে।
শ্রীপুর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া মাস্টার বাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর থেকেই নানা মাধ্যমে ইমরানকে খোঁজা হচ্ছিল।
ওসি বলেন, উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংদিঘী গ্রামের সুজন আলীর ছেলে ও বারতোপা শিশু কানন বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক রাসেলকে হত্যার কথা সে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। এই হত্যা মিশনে তার আরো কয়েক বন্ধু অংশ নিয়েছে বলেও দাবি করেছে।
দক্ষিণ বারতোপা গ্রামের আবু বকর মণ্ডলের ছেলে ইমরান মণ্ডল পুলিশকে জানিয়েছে, মাস ছয় আগে বিয়ে করার পর থেকে সে সমস্ত নেশা ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু রাসেল প্রায় সময়ই তাকে মাদক নিয়ে নানা কথাবার্তা বলে আসছিল। এ কারণে ভেতরে আক্রোশ তৈরি হয়। এই আক্রোশ থেকেই রাসেলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত শনিবার সন্ধ্যার পর ইমরান নিজেই রাসেলকে তার বাড়ির সামনে থেকে ‘মিটিং আছে ’ বলে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে যায় বিলাইঘাটা এলাকার এক নির্জন জায়গায়। তার সঙ্গে ছিল বেশ কয়েকজন সহযোগী।
প্রথমে ইমরান নিজেই রাসেলকে চড় থাপ্পর দিতে থাকে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। পরে তার সহযোগীরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে মাথায় আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে লবণদাহ খালের পাড়ে ফেলে রেখে চলে যায়।
ঘটনার তিন দিনের মাথায় শ্রীফুর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে শিক্ষক রাসেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইমরানকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।