নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে সাবেক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযোগকারী সাত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করেছেন তদন্ত কমিটি।
সোমবার (২ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদ ভূঁইয়া।
গত ১৯ মে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত পত্রে সাত শিক্ষককের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে অধিদপ্তরকে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিভাগীয় শাস্তি পাওয়া সহকারী শিক্ষকরা হলেন, মুলাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মো. লুৎফর রহমান ফরহাদ, মাওনা ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জহিরুল হক, টেপিরবাড়ি দেওচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মো. আনিছুর রহমান, ধনুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আবু কাইয়ুম, বেলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আবুল কালাম ফকির, সিংগারদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মো. আনোয়ার হোসেন, পূর্ব নিজ মাওনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, নূর মোহাম্মদ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শ্রীপুর, গাজীপুর (বর্তমানে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ডেমরা, ঢাকা) ও সিকদার মো. হারুন অর রশিদ সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, শ্রীপুর, গাজীপুর (বর্তমানে সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, সদর, ময়মনসিংহ) গণের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের কোনোটিরই সত্যতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা মতামত এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ উত্থাপনকারী ৭ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ওই সাত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে গৃহীত ব্যবস্থা অত্র অধিদপ্তরকে অবহিত করার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ওই পত্রে।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাসুদ ভূঁইয়া বলেন, বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা অধিদপ্তর থেকে একটি চিঠি পেয়েছি, চিঠির আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাজীপুরের দুই মহাসড়কে যাত্রীর চাপ, তবে বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।