নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ীতে চুরির অভিযোগে হৃদয় (১৯) নামে এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মামলাটিতে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ছয়জনে।
নতুন করে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার হারিয়াক্রাউন গ্রামের মো. কাউসার (২৮), টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শামিম আহমেদ (৩৪) এবং সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রাশেদুল হাসান (৩৩)। এর আগে তিন নিরাপত্তাকর্মী ও এক শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, কোনাবাড়ী থানার কাশিমপুর রোডের গ্রিনল্যান্ড গার্মেন্টসে গত ২৭ জুন রাত থেকে ২৮ জুন সকাল ১০টার মধ্যে হৃদয়কে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত হৃদয় কারখানাটির ডাইং সেকশনে অস্থায়ী ইলেকট্রিক মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন।
হৃদয়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই কারখানাসহ আশপাশের কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে কারখানা কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করে। ঘটনার পর পুলিশ কারখানা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করে।
নিহত হৃদয় টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার শুকতারবাইদ এলাকার বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। তিনি গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় মা ও বোনের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন। হৃদয়ের বড় ভাই লিটন মিয়া বাদী হয়ে শনিবার কোনাবাড়ী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন বলেন, “এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি শফিকুল ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া শ্রমিক হাসান মাহমুদের সাত দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করা হয়েছে। বাকি পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।