জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরে কাশিমপুর এলাকায় ব্রাক স্কুলের ভিতরে ধরে নিয়ে এক কিশোরীকে (১৩) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরীর মা বাদী হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কাশিমপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় দুইজনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন, নওগাঁ সদর থানার রজাকপুর এলাকার মো. নজরুল ইসলাম লিটনের ছেলে সম্রাট হোসেন শান্ত এবং একই থানার ভবানীপুর এলাকার মো. আলীম হোসেন আলেকের ছেলে শাকিল আহম্মেদ। তারা গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন তেঁতুইবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন তেঁতুইবাড়ী এলাকায় পরিবারের সাথে থাকতো ওই কিশোরী। বুধবার সকালে কিশোরীর মা-বাবা কাজের উদ্দেশ্যে কর্মস্থলে যায়। এ সময় ওই কিশোরী বাসায় একাই ছিল। দুপুরে প্রতিবেশী এক শিশুকে খুঁজতে বাসা থেকে বের হয়। পথে মো. সম্রাট হোসেন ওরফে শান্ত পেছন থেকে ওই কিশোরীকে ডাকলে সাড়া না দিয়ে সে দৌঁড়ে বাসায় ফেরার চেষ্টা করে। এ সময় সম্রাট হোসেন ও শাকিল আহম্মেদ জোর করে ওই কিশোরীকে পাশের একটি টিনশেডের ব্র্যাক স্কুলের ভেতর নিয়ে যায়। পরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরে তার তার চিৎকারে প্রতিবেশী কয়েকজন নারী তাকে উদ্ধার করে। সন্ধ্যায় ওই কিশোরীর মা-বাবা বাড়িতে ফিরে ঘটনা জানতে পারেন। পরে আজ সকালে কিশোরীর মা বাদী হয়ে কাশিমপুর থানায় সম্রাট হোসেন শান্ত ও শাকিল আহম্মেদকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
কাশিমপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কিশোরীকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।