নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের কপাটিয়াপাড়া গ্রামে জহুরা খাতুন (৫৮) নামের এক বৃদ্ধাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে। নিহতের নাতি মাসুম ইসলামের অভিযোগ, তাঁর ফুফা নজরুল ইসলাম বাড়ি থেকে তাঁর দাদিকে ডেকে নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন।
নাতি মাসুমদের দাবি, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হোক। কিন্তু নজরুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রীর দাবি ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হোক। দুই পক্ষ আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারায় লাশ ১৮ ঘণ্টা ধরে বাড়ির আঙিনায় পড়ে রয়েছে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। মাসুম ইসলাম অভিযোগ করেন, গত ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর ফুফা নজরুল ইসলাম সুস্থ অবস্থায় জহুরা খাতুনকে বাজারে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে রাত গড়িয়ে গেলেও তিনি জহুরা খাতুনকে ফিরিয়ে আনেননি। একাধিকবার যোগাযোগ করার পর নজরুল ইসলাম জানান, জহুরা অসুস্থ এবং হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তবে কোন হাসপাতালে ভর্তি আছেন তা জানাননি।
১৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে নজরুল ইসলাম অ্যাম্বুলেন্সে করে জহুরা খাতুনের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ নিয়ে মাসুম ইসলাম জানতে চাইলে নজরুল উত্তেজিত হয়ে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং মারধর করেন। মাসুম ইসলাম থানায় অভিযোগ দায়ের করে মরদেহের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেছেন।
অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম দাবি করেন, জহুরা খাতুন মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাঁকে প্রথমে শ্রীপুর, পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নজরুল আরও বলেন, ‘শাশুড়ির কাছ থেকে জমি লিখে নেওয়ার সন্দেহ থেকেই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। মরদেহ দাফন করতে চাইলেও তারা বাধা দিচ্ছে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।