নিজস্ব প্রকিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরে এখন পর্যন্ত ৩৬৬ জন কুষ্ঠরোগী সনাক্ত হয়েছে। কুষ্ঠরোগ নিয়ে কাজ করা প্রয়াস এক্সিলারেটিং ল্যাপ্রোসিস সার্ভিসেস প্রজেক্ট থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে গাজীপুর প্রেসক্লাবে কুষ্ঠরোগের চিকিৎসা, সচেতনতা সৃষ্টি ও এ রোগ থেকে পরিত্রাণের উপায় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়।
জানা যায়, ২০১৮ সাল থেকে প্রয়াস এক্সিলারেটিং ল্যাপ্রোসিস সার্ভিসেস প্রজেক্ট কুষ্ঠরোগ নিয়ে কাজ করছে। এ পর্যন্ত গাজীপুরে ৩৬৬ জন কুষ্ঠরোগী সনাক্ত করতে সমর্থ হয়েছেন এ প্রকল্পের কর্মীরা। এর মধ্যে ২০১৮ সালে ৪৯ জন, ২০১৯ সালে ৭৫ জন, ২০২০ সালে ৬০ জন, ২০২১ সালে ৫৩ জন, ২০২২ সালে ৪৬ জন, ২০২৩ সালে ৫২ জন ও ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ৩১ জন রোগী সনাক্ত করা হয়েছে।
প্রয়াস এক্সিলারেটিং ল্যাপ্রোসিস সার্ভিসেস প্রজেক্ট- এর টেকনিক্যাল সাপোর্ট অফিসার সমুয়েল সরকার জানান, কুষ্ঠ রোগের জীবাণু মানবদেহে নাক-মুখ দিয়ে প্রবেশ করলেও তা প্রকাশ পায় চামড়ায়। এ রোগ কি পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ পেতে সময় লাগে প্রায় পাঁচ বছরের মতো। এই জীবাণুর আক্রমণে মানব দেহের প্রান্তিক স্নায়ু নষ্ট হয়ে যায় এবং মেলানিন সেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে চামড়া ফ্যাকাসে ও খসখসে হয়ে যায়। পরবর্তীতে চামড়া লাল হয়ে, অবশ ও ফুলে গিয়ে প্রদাহ সৃষ্টি করে। সর্বশেষ এর জীবাণুর আক্রমণে মানুষ বিকলাঙ্গ পর্যন্ত হয়ে যায়।
সমুয়েল সরকার আরও জানান, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে কুষ্ঠরোগ মুক্ত করতে সরকারের টার্গেট পূরণে সরকারের সঙ্গে আমরাও কাজ করছি।
অনুষ্ঠানে প্রকল্পের ফ্যাসেলিটেটর বাবুল চন্দ্র রায়, গাজীপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মো. আমজাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন আহমদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মোকছেদুল আলম লিটন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।