জুমবাংলা ডেস্ক : গাড়ির ফুয়েল ট্যাংক, সবজিভর্তি পিকআপ কোনো কিছুই বাদ যাচ্ছে না মাদক চোরাকারবারিদের কাছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন উপায় বেছে নিচ্ছে তারা। অন্যদিকে জব্দ হচ্ছে একের পর এক বড় বড় চালান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে প্রতিনিয়ত কৌশল পরিবর্তন করেও পার পাচ্ছে না মাদক কারবারিরা। তারপরেও থেমে নেই চোরাচালান। পুলিশ বলছে, যারা ধরা পড়ছে তারা বহনকারী, মূল ব্যবসায়ীরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। মাদক আইন আরো কঠোর করার পরামর্শ পুলিশের।
সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় একটি পিকআপের গতিরোধ করে গোয়েন্দা পুলিশ। গাড়িটিতে মাদকের একটি বড় চালান আসার তথ্য আসে পুলিশের কাছে।
ব্যাপক তল্লাশির পরেও কোথাও মাদক না পেয়ে চালক ও হেলপারকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা জানায় গাড়িটির ফুয়েল ট্যাংকারে বিশেষ কায়দায় লুকানো আছে বিপুল পরিমাণ গাঁজা। পরে ট্যাংকার থেকে বের করা হয় একের পর এক গাঁজার বস্তা। উদ্ধার করা হয় ১০০ কেজি গাঁজা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চালানটি ঢাকার এক মাদক কারবারির কাছে পৌঁছানোর কথা ছিল।
সময় সংবাদকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার সিকদার মোহাম্মদ ইমাম হাসান বলেন, এ চক্রটা দীর্ঘদিন ধরে মাদক সরবরাহ করছে এ তথ্য আসে। অনুসন্ধান করতে গিয়ে তার সত্যতা পাওয়া যায়। জানতে পারি এরা একটা বড় চালান নিয়ে আসছে। তখন অভিযান চালানো হয়।
মাদক সরবরাহকারীরা সাংবাদিকদের জানান, স্যার আগের চালান যাকে দেওয়া হয়েছিল তাকেই আবার দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
গত ৩১ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি সবজিভর্তি পিকআপ থেকে ৫০ কেজি গাজা ও ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। প্রতিদিন পুলিশের অভিযানে রাজধানীতে মাদকের বড় বড় চালান ধরা পড়ছে। মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত কৌশল পরিবর্তন করেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত খেকে রক্ষা পাচ্ছে না।
পুলিশ বলছে, একের পর এক মাদকের চালান ধরা পড়লেও মূল মাদক কারবারিরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, মূল ব্যবসায়ীরা প্রায়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। আমরা তদন্তের মাধ্যেমে তাদের নিয়ে আসি, আইনের মাধ্যমে, অনেক সময় আনা সম্ভব হয় না। কারণ মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ক্ষেত্রে সব চেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে যার কাছ থেকে আপনি উদ্ধার করা হয়, মূলত সে প্রধান আসামি। কার মাধ্যমে আসল, কে আনল আইনগতভাবে তাকে প্রমাণ করা খুবই জটিল।
আর মাদকসেবীদের নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে মাদক নিমূর্ল সম্ভব নয় বলছে পুলিশ।
মূল মাদক কারবারিদের আইনের আওতায় আনতে কঠোর আইন দরকার বলে মনে করছে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।