তিন মাসের ব্যবধানে চতুর্থবারের মতো সক্রিয় আইসল্যান্ডের আগ্নেয়গিরি। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বিস্ফোরিত হয় জ্বালামুখ। তিন কিলোমিটার দীর্ঘ ফাটল দিয়ে ছিটকে বেরিয়ে আসছে লাভা। ধাবিত হচ্ছে লোকালয়ের দিকে। কর্তৃপক্ষ বলছে, গেলো ৮ শতকে এমন লাভার স্রোত দেখেনি আইসল্যান্ডবাসী। শঙ্কা হচ্ছে আবারও সিরিজ অগ্ন্যুৎপাতের যুগে প্রবেশ করছে দেশটি।
টগবগ করে ফুটছে আগ্নেয়গিরির আগুন। কয় কিলোমিটার দূরে শব্দ থেকে তাই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। আগুনের লাভায় প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা। দুই পর্বতের মাঝে লম্বা ফাটল দেখা দিয়েছে। সেখান থেকে বের হচ্ছে জ্বলন্ত লাভা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আগে সতর্ক করেছিল যে, আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাত হওয়ার বেশ সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা শুরু হয় লাভার উদগিরণ। যেসব অঞ্চলে মানুষ বাস করে সেখানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে আগুনের স্রোত।
নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে অঞ্চলের বাসিন্দা সহ কয়েকশো পর্যটককে। ওই সময়ে যারা রেস্টুরেন্টে খাবার খাচ্ছিলেন তারা ভয় পেয়ে বেরিয়ে পড়েন। তাদেরকে বেশ আতঙ্কজনক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।
তিন মাসের ব্যবধানে চতুর্থবারের মতো অগ্নুৎপাতের সম্মুখীন হয়েছে দেশটি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে আবারও প্রাচীন যুগের সময় ফিরে যাচ্ছে দেশটি। এখানে যারা বাস করেন তাদের কাছে অগ্নুৎপাত কোন বিরল ঘটনা নয়।
শেষ দুইটি আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের সময় যে পরিমাণ লাভার উদগিরণ হয়েছে তা গত ৮০০ বছরেও দেখা যায়নি। এত বছর পর এভাবে লাভার উদগিরণ কেন হচ্ছে তা বিজ্ঞানীদের দুশ্চিন্তাগ্রস্থ করে চলেছে। আইসল্যান্ড দুইটি বিপরীতমুখী টেকটোনিক প্লেটের মধ্যে অবস্থিত।
এ কারণে প্রায় সময় সেখানে ভূকম্পন অনুভূত হয়। এই কারণে ঘন ঘন এসব অঞ্চলের আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠে। এ কারণে দেশের এসব এলাকাকে ভলকানো হটস্পট বলা হয়। তবে সময়ের সাথে সাথে প্লেটগুলোর মধ্যে বাড়ছে দূরত্ব। তবে দিন দিন আগ্নেয়গিরির পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
দেশটিতে একশোর বেশি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এর মধ্যে সক্রিয় রয়েছে ৩০ টির মতো আগ্নেয়গির। এখানে সিরিজ অগ্নুৎপাত শুরু হলে আইসল্যান্ডের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। এ ধরনের আশঙ্কা করছে বিজ্ঞানীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।