জুমবাংলা ডেস্ক : ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। এরই মধ্যে খামারের অন্তত ৮০ ভাগ কোরবানির পশু বেচাকেনা শেষ হয়েছে। এখন হাটে গিয়ে গরু কিনছেন ক্রেতারা। খামারিরা জানিয়েছেন, গোখাদ্যের দাম বেশি থাকায় এবার গরুর দাম বেশি পড়ছে। সরকারি হিসাবে, বরিশাল বিভাগে গতবারের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর মজুদ ৫০ হাজার বেশি রয়েছে। ফলে পশুর সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই।
কেমিস্ট অ্যাগ্রোবায়োটেক লিমিটেড, এমইপি অ্যাগ্রো এবং সাদ সাঈদ অ্যাগ্রো খামারের সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বছরের শুরুতেও প্রতি কেজি গমের ভুসির দাম ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা, বুটের খোসা ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, চালের খুদ ২৯ থেকে ৩০ টাকা ও দানাদার ফিডের দাম ৪৯ থেকে ৫০ টাকা ছিল।
তবে ফেব্রুয়ারি থেকেই প্রতি কেজি গমের ভুসি ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, বুটের খোসা ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, চালের খুদ ৩৮ থেকে ৪০ টাকা ও দানাদার ফিড ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পানি-বিদ্যুৎ বাবদ খরচও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। ফলে লালন-পালন খরচ বৃদ্ধি পেয়ে বাজারে গরুর দাম বেড়েছে। কিন্তু সেই হারে গরুর দাম বাড়েনি।
এমইপি অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী রোমান শরিফ জানান, কোরবানির জন্য ৭০টি গরু লালন-পালন করেছেন। কম দামের গরু আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ৪০টি বিক্রি হয়ে গেছে। খামারে এখন যে গরু আছে সেগুলোর দাম তিন লাখ থেকে শুরু করে ১২ লাখের মধ্যে। তবে গোখাদ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে সেভাবে গরুর দাম বাড়ানো যায়নি। তাতে লাভ কমেছে।
বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত বছরে কোরবানি হওয়া পশু সংখ্যার চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ভাগ বাড়তি হিসাব করে চাহিদা তৈরি করা হয়েছে। যে পরিমাণ পশু হিসাবে দেখানো হয়েছে, বাস্তবে তার চেয়ে বেশি পশু রয়েছে। কারণ অনেক গৃহস্থের লালন-পালন করা পশু এ হিসাবে নেই। খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে গত বছরের খামারিদের লাভ কম হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।