জুমবাংলা ডেস্ক: দিনাজপুরের গোড়-এ শহীদ ময়দানে ঈদের জামাতে ৬ লক্ষাধিক মুসল্লি অংশ নেন বলে দাবি করেছে আয়োজক কমিটি। দিনাজপুরসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে মুসল্লিরা এতে অংশ নেন।
সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ঈদ জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা শামসুল হক কাশেমী।
নামাজে অংশ নেন ঈদগাহ মাঠের প্রধান উপদেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষক জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ প্রমুখ।
হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, মোনজাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের জন্য দোয়া করা হয়েছে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত থাকুক সেজন্য দোয়া করা হয়েছে। আর ঈদের জামাতে বহু মুসল্লির সমাগম হয়েছে। গত বছরের চেয়েও এবারে মুসল্লির সংখ্যা বেশি।
এবার ৬ লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম হয়েছে হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ঈদের জামাত নিরাপদে সম্পন্ন করতে সমন্বিত পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। টহল, চেকপোস্ট, সিসি ক্যামেরা, ড্রোন সার্ভিস, রাস্তার মোড়ে মোড়ে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়। জেলা প্রশাসনও সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এছাড়া র্যাব, বিজিবি, আনসার বাহিনী নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ বলেন, সফলভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ায় সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
২০১৫ সালে এই ঈদগাহ মিনার নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ছয়টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা ভাইরাসের কারণে এই মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০২২ সালে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেই জামাতে প্রায় ৬ লাখ মুসল্লি অংশ নিয়েছিলেন।
দেশের ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ ময়দান কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় এবার চার লক্ষাধিক মুসল্লি ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১০টায়। এতে ইমামতি করেন ইসলামী চিন্তাবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মুফতি ফরিদ উদ্দীন মাসউদ।
আয়তনের দিক দিয়ে দিনাজপুরের গোড়-এ শহীদ ময়দান উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ। গোর-এ-শহীদ ময়দানের আয়তন প্রায় ২২ একর। অপরদিকে, শোলাকিয়ার আয়তন সাত একর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।