বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা প্লাটফর্ম ইনকরপোরেশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্য। মুখচ্ছবি শনাক্তকরণ (ফেস রিকগনিশন) ফিচারের মাধ্যমে সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্টটি এক দশক ধরে অনৈতিকভাবে অঙ্গরাজ্যটির কয়েক কোটি মানুষের তথ্য সংগ্রহ করেছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। খবর সিএনএন।
তথ্য বলছে, গত সোমবার টেক্সাসের হ্যারিসন কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে এ মামলা করা হয়। মামলার বাদী হয়েছেন রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন। তিনি বলেন, ফেসবুক অবৈধভাবে মুখচ্ছবি শনাক্তকরণ ফিচার ব্যবহারের মাধ্যমে রাজ্যের গোপনীয়তা সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করেছে। এ কারণে কোম্পানিটিকে কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত বলেও দাবি করেন তিনি।
ফেসবুকের ট্যাগ সাজেশনস ফিচার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবিতে থাকা ব্যক্তিকে শনাক্ত করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর বন্ধুকে ট্যাগ করে নিতে সক্ষম হতো। এক রকম তোপের মুখেই গত বছরের নভেম্বরের শুরুতে ফিচারটি বন্ধ করে দেয় ফেসবুক। বিশেষ করে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্য একই ইস্যুতে ফেসবুকের বিরুদ্ধে ৬৫ কোটি ডলারের মামলা ঠুকে দিলে টনক নড়ে মেটা কর্তৃপক্ষের। মামলাটি মিটে যাওয়ার পর ফেসবুক জানায়, ফেস রিকগনিশন ফিচারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা ৬০ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্যও মুছে ফেলবে প্রতিষ্ঠানটি।
মামলায় বলা হয়, এ ফিচার ব্যবহার করে কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই টেক্সাসের বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেছে ফেসবুক। বরং যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন না, তাদের তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে।
মামলায় আরো বলা হয়, ২০০৯ সালে দ্য ক্যাপচার অর ইউজ অব বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফায়ার অ্যাক্ট (সিইউবিআই) জারি করা হয়। ফেসবুক এ অ্যাক্টের আওতায় থাকা বায়োমেট্রিক ডাটা প্রাইভেসি আইন ভঙ্গ করেছে কয়েক কোটি বার। তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে লঙ্ঘিত হয়েছে রাজ্যের ভোক্তা সুরক্ষা আইনও।
এদিকে মামলার বিষয়ে ফেসবুকের মুখপাত্র সিএনএনকে বলেন, এ অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমরা শক্তভাবে এ অভিযোগ ও মামলার বিরুদ্ধে লড়াই করব।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১০ থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত টেক্সাসের কয়েক লাখ বাসিন্দাকে তাদের অজ্ঞাতসারেই ফেস রিকগনিশন ফিচার ব্যবহারে বাধ্য করে। ফলে পরবর্তী ১০ বছর যাদের ছবিই ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছে, তাদের মুখাবয়বের তথ্য ফেসবুকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষণ হয়েছে। এ সময় ফেসবুক ব্যবহার করেন না, এমন অনেকের ছবিও আপলোড হয়েছে। তাদের তথ্যও সংযুক্ত হয়েছে ফেসবুকের ভাণ্ডারে।
অভিযোগটি আমলে নিয়ে কয়েক বছর সময় নিয়ে সর্বোচ্চ তদন্তের দাবি জানানো হয় এ মামলায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।