আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলে অনেকটা গোপনে সামরিক সহায়তা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা বিভাগের একটি তালিকার উদ্ধৃতি দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের অনুরোধের ভিত্তিতে অস্ত্র বহনকারী অ্যাপাচি বিমানে আরও বেশি পরিমাণে লেজারযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র, ১৫৫ মিলিমিটার শেল, নাইট ভিশন ডিভাইস, বাংকার ধ্বংসকারী যুদ্ধাস্ত্র, নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ও সাঁজোয়া যান অন্তর্ভুক্ত করেছে পেন্টাগন।
ব্লুমবার্গের তথ্যমতে, ইসরায়েলে সামরিক সহায়তা পাঠানোর এই তালিকা অক্টোবরের শেষ দিকে তৈরি করা হয়েছিল। আর সেই তালিকায় অনেকটাই চুপিসারে যোগ করা হয়েছে এসব অস্ত্র। অস্ত্রগুলো পাঠানোর কাজ ইতিমধ্যে চলছে অথবা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অস্ত্রভান্ডার থেকে সেগুলো ইসরায়েলে সরবরাহের কাজ করছে প্রতিরক্ষা বিভাগ।
পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে যে, অক্টোবরের শেষের দিকেই ৩৬ হাজার রাউন্ড ৩০ মিলিমিটার কামানের গোলাবারুদ, অনুরোধকৃত ১ হাজার ৮০০টি এম ১৪১ বাংকার বিধ্বংসী গোলাবারুদ এবং কমপক্ষে সাড়ে ৩ হাজার নাইট ভিশন ডিভাইস (অন্ধকারে দেখা যায় এমন যন্ত্র) সরবরাহ করা হয়েছিল।
পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র সুনির্দিৃষ্ট বিষয়ে ব্লুমবার্গকে কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হয়নি। তবে অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েল যাতে আত্মরক্ষা করতে পারে, তা নিশ্চিতে বেশ কয়েকটি উপায় ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। তার মধ্যে অভ্যন্তরীণ মজুত এবং বাণিজ্য খাতও রয়েছে।
গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এই পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটনের প্রতি ইসরায়েলি সরকারকে দ্ব্যর্থহীন সমর্থন প্রদান ও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন মানবাধিকার আইনজীবীরা। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর ইসরায়েলকে ৩৮০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দেয়।
গত রাতেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। আল-শিফাসহ গাজার হাসপাতালগুলোকে হামাস ব্যবহার করছে—এমন তথ্য আছে বলে কেবল ইসরায়েলই নয়, দাবি করেছিল হোয়াইট হাউসও। এ কারণে কয়েক ঘণ্টা পরই স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১টায় অসুস্থ রোগী এবং মরদেহে পূর্ণ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ট্যাংক ও বুলডোজার নিয়ে প্রবেশ করে ইসরায়েলি বাহিনী।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই সাড়ে ৪ হাজারের বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।