গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে আজ (১২ ডিসেম্বর) পালিত হয়েছে গোবিন্দগঞ্জ হানাদারমুক্ত দিবস।
১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদারমুক্ত হয় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা। দিবসটি উপলক্ষে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে।
সকালে দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে। এরপর দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ প্রধান ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় গণহত্যার খবর গোবিন্দগঞ্জে পৌঁছালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে রুখতে গণপরিষদ সদস্য মরহুম জামালুর রহমান প্রধান, ন্যাপের সভাপতি মরহুম ফারাজ মোল্লা, ছাত্রলীগের সভাপতি মরহুম আব্দুল মতিন তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মরহুম ছাদেকুল ইসলাম প্রধান এর নেতৃত্বে সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়। তারা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর অগ্রযাত্রা প্রতিরোধ করতে ২৭ মার্চ সকালে শত শত মুক্তিপাগল তরুন, যুবকসহ হাতুরি, খুন্তি নিয়ে কাটাখালী ব্রীজ ধ্বংসের প্রচেস্টা চালায়। ব্রীজের উত্তর পাশের কিছু অংশ ভাঙ্গার কাজ সম্পন্ন হতেই রংপুর থেকে ছুটে আসা পাক বাহিনীর একটি কনভয় তাদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এতে আব্দুল মান্নান, বাবলু মহন্ত, বাবু দত্তসহ অজ্ঞাত পরিচয় এক কিশর ও বৃদ্ধ শহিদ হয়।
এরপর দীর্ঘ নয়মাস যুদ্ধের পর ১১ ডিসেম্বর ভোর রাতে হিলি, গাইবান্ধা, বোনারপাড়া ও মহিমাগঞ্জ থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মিলিত আক্রমনে নিহত হয় দুই শতাধিক পাকবাহিনীর সদস্য এবং প্রাণভয়ে পালিয়ে যায় অনেক পাকসেনা। অবশেষে ১২ ডিসেম্বর শত্রুমুক্ত হয় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা। ঐদিন মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা গোবিন্দগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে সমবেত হয়ে জাতীয় পতাকা উত্তলন করে। এভাবেই হানাদারমুক্ত হয় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।