নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে ৪শত মুরগী মারা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এক পোল্ট্রি খামারি। পোল্ট্রি সেডের চার পাশে অসংখ্য গ্যাস ট্যাবলেট ছিটিয়ে মুরগী মারা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আর ৮শত মুরগী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত একটা দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের ভিটিপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী পোল্ট্রি খামারী মো. শহিদুল্লাহ উপজেলার বরমী ইউনিয়নের ভিটিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাহিদের ছেলে।
পোল্ট্রি খামারী শহিদুল্লাহ বলেন, পোল্ট্রি সেডের পাশের একটি ছোট্ট ঘরে আমিসহ আরেকজন ঘুমায়। রাতের খাবার খেয়ে রাত এগারোটার দিকে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। রাত আনুমানিক ১টার দিকে মুরগীর ডাকাডাকির কারণে ঘুম ভেঙে যায়। এরপর উঠে দেখি মুরগীগুলো এক সঙ্গে জরো হয়ে আছে। এরপর খামারের ভেতর প্রবেশ করে দেখি অসংখ্য মুরগী মরে গেছে। এরপর কারণ খুঁজতে সেডের বাহিরে গিয়ে দেখি পোল্ট্রি সেডের চারপাশে অসংখ্য ট্যাবলেট ছিটানো। এরপর দ্রুত সুস্থ মুরগীগুলো বাড়ির উঠানে বের করে আনি। ততক্ষণে চার শতাধিক মুরগী মারা যায়। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে এখনও অনেক মুরগী মরছে। অনেক অসুস্থ শতাধিক মুরগীকে অন্য একটি সেডে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, থানা পুলিশকে অবহিত করে হাসপাতালে যাচ্ছি। তবে কে কি কারণে আমার এমন ক্ষতি করলো আমি বলতে পারবো না। তেমন কারো সঙ্গে আমার কোন শত্রুতা নেই।
বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মারুফ মোক্তার বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। ফার্মের বিষয়টি সঠিক তদন্তের জন্য ফার্মের মালিককে থানায় পাঠানো হয়েছে। পোল্ট্রি সেডের চারপাশে অনেক ট্যাবলেট পড়ে আছে এটা দেখছি।
শ্রীপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আতিকুর রহমান বলেন, আমার উর্ধতন কর্মকর্তা আসার কারণে আমি বাহিরে রয়েছি। অফিসে পৌঁছে বিষয়টি সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত জানাতে পারবো। ভুক্তভোগী খামারী এসেছেন কি না।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ এফ এম নাসিম বলেন, আমি গাজীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে মিটিংয়ে আছি। অভিযোগ দিয়েছেন কিনা বলতে পারবো না। খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।