Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home গ্রহাণু অ্যাপোফিসের ধাক্কা থেকে পৃথিবী ১০০ বছরের জন্য বেঁচে যাবে : নাসা
আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

গ্রহাণু অ্যাপোফিসের ধাক্কা থেকে পৃথিবী ১০০ বছরের জন্য বেঁচে যাবে : নাসা

Mohammad Al AminMarch 28, 20214 Mins Read
Advertisement

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: যে গ্রহাণু পৃথিবীকে ধাক্কা মারতে পারে বলে একসময় বড়রকম আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা অন্তত আগামী একশ বছর ঘটবে না এবং পৃথিবী নিরাপদ বলে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা নিশ্চিত করার পর পৃথিবীর মানুষ এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবে। খবর বিবিসি বাংলার।

অ্যাপোফিস গ্রহাণুটি আবিষ্কার হয়েছিল ২০০৪ সালে এবং এটি আবিষ্কৃত হবার পর পৃথিবীর জন্য এটিকে অন্যতম সবচেয়ে বিপদজনক গ্রহাণু বলে চিহ্ণিত করেছিল নাসা।

তাদের পূর্বাভাস ছিল এই গ্রহাণু পৃথিবীকে ধাক্কা দেয়ার মত খুব কাছাকাছি আসবে ২০২৯ সালে। এরপর আবার বলা হয় এটা ঘটতে পারে ২০৩৬ সালে। পরে দুটি সংঘর্ষের আশঙ্কাই নাকচ করে দেয়া হয়।

এরপর জানা যায়, ২০৬৮ সালে এই গ্রহাণুর সাথে পৃথিবীর সংঘর্ষের কিছু ঝুঁকি রয়ে গেছে।

কিন্তু এই গ্রহাণুর গতিপথ নতুনভাবে বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে নাসা এখন বলেছে অন্তত ১০০ বছরের জন্য এই ঝুঁকি কাটানো গেছে।

এক বিবৃতিতে নাসার বিজ্ঞানী ডেভিড ফার্নোচ্চিয়া বলেছেন, এই গ্রহাণুর ২০৬৮ সালে পৃথিবীর সাথে ধাক্কা লাগার যে আশঙ্কা ছিল, সেই সম্ভাবনা এখন নেই এবং আমাদের হিসাব নিকাশ অনুযায়ী আগামী অন্তত একশ বছরে এই গ্রহাণু তার গতিপথে সেই ঝুঁকির জায়গায় আসবে না।

এই গ্রহাণুর নামকরণ হয়েছিল মিশরের এক প্রাচীন দেবতা অ্যাপোফিস-এর নামে। গ্রহাণু অ্যাপোফিস প্রস্থে ৩৪০মিটার (১,১০০ ফুট) চওড়া এবং এর দৈর্ঘ্য ব্রিটেনের প্রায় তিনটি ফুটবল পিচের সমান।

এই গ্রহাণু সম্প্রতি ৫ই মার্চ তারিখে পৃথিবীর ১৭ মিলিয়ন কিলোমিটার (এক কোটি মাইল) দূরত্বের মধ্যে এসে পড়েছিল।

জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা তখন এই গ্রহাণুর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার গতিপথ ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ পান এবং রেডার যন্ত্র দিয়ে ধরা তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা ২০৬৮ সালে বা তার পরে এটি কোথা দিয়ে যাবে তা পুঙ্খানুপুঙ্ক্ষভাবে হিসাব করেন। এর ভিত্তিতেই তারা তাদের নতুন তথ্য উপাত্ত নিয়ে আশ্বস্ত।

ডেভিড ফার্নোচ্চিয়া বলেন, আমি যখন কলেজ ছাড়ার পর গ্রহাণু নিয়ে কাজ শুরু করি, তখন থেকেই আমরা জানতাম অ্যাপোফিস পৃথিবীর জন্য খুবই বিপদজনক একটা গ্রহাণু। এটাকে এখন ঝুঁকির তালিকা থেকে বাদ দিতে পেরে আমরা স্বস্তিবোধ করছি।

তিনি বলেন, যখন প্রথম জানা যায় এই গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ২০২৯ এ ধেয়ে আসবে, তখন থেকে নাসা সিদ্ধান্ত নেয় যে ২০২৯য় এ গ্রহাণুটি পৃথিবীর খুব কাছে এসে গেলে তখন এর গতিবিধি এবং বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো আরও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

নজিরবিহীন কাছাকাছি

মি. ফার্নোচ্চিয়া অ্যাপোফিসের পৃথিবীর কাছাকাছি আসার যে কথা বলছেন সেটা ঘটবে ১৩ই এপ্রিল ২০২৯ এ। ওই তারিখে এই গ্রহাণু পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ৩২ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে এসে পৌঁছবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই দূরত্ব হল পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যে যে দূরত্ব তার এক দশমাংশ।

ওই দিন পৃথিবীর পূর্ব গোলার্ধ থেকে অর্থাৎ এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপের কোন কোন জায়গা থেকে অ্যাপোফিস গ্রহাণুটি দেখা যাবে।

এই দেখার জন্য কোন টেলিস্কোপ বা বায়নোকুলার প্রয়োজন হবে না।

বিপদজনক তিনটি গ্রহাণু

যেসব গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসলে তার থেকে পৃথিবীর কোন না কোন দিন সমূহ বিপদের আশঙ্কা রয়েছে সেগুলোর ওপর নজর রাখে নাসা। নাসা এদের শ্রেণিভুক্ত করেছে সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ গ্রহাণু বা পোটেনশিয়াল হ্যাজাডার্স অ্যাসটেরয়েডস (পিএইচএ) নামে।

এদের প্রত্যেকটির সাংকেতিক নাম রয়েছে। এরকম তিনটি গ্রহাণু:

1950 DA (১৯৫০ডিএ)

  • এটি আবিস্কৃত হয় ২৩শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫০। এরপর এটি হারিয়ে যায়।
  • প্রায় অর্ধ শতাব্দী পর এটি আবার খুঁজে পাওয়া যায়। ১.৩ কিমি এই গ্রহাণু নিয়ে বিজ্ঞানীরা এরপর নতুন করে হিসাব নিকাশ শুরু করেন।
  • নতুন হিসাব অনুযায়ী তাদের ধারণা এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে সম্ভবত ১৬ই মার্চ ২৮৮০তে
  • তবে পৃথিবীর সাথে এটির সংঘর্ষের আশংকা খুবই নগণ্য।

2010 RF12 (২০১০ আরএফ১২)

  • পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষের আশংকা এই গ্রহাণু থেকে সবচেয়ে বেশি এবং এটির ওপর কড়া নজর রাখছে নাসা।
  • এটির পৃথিবীকে ধাক্কা মারার সম্ভাবনা ৪.৭%; এটির ব্যাস ৭মিটার।
  • নাসার গবেষণা অনুযায়ী এটির সাথে পৃথিবীর সংঘর্ষ ঘটার সম্ভাবনা ৫ই সেপ্টেম্বর ২০৯৫ তে।
  • শুনতে ভীতিকর হলেও এটি যেহেতু আকারে খুবই ছোট এটি পৃথিবীর বুকে ধাক্কা মারলে তাতে বড়ধরনের কোন হুমকির আশঙ্কা নেই বলে বিজ্ঞানীরা বলছেন।

2012 HG2 (২০১২ এইচজি২)

  • এই গ্রহাণুর সাথে পৃথিবীর প্রথম সংঘর্ষ ঘটতে পারে ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০৫২তে বলে নাসার পূর্বাভাস।
  • এটির ব্যাসার্দ্ধ ১৪ মিটার এবং এটিও নাসার ঘনিষ্ঠ নজরে রয়েছে কারণ এটিরও ধাক্কার মারার বড়ধরনের আশঙ্কা রয়েছে।
  • এটিও আকারে তুলনামূলকভাবে ছোট, তাই ধাক্কা মারার পর এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুড়ে যাবে বলে তারা মনে করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
Related Posts
স্মার্টফোনের ব্রাইটনেস

স্মার্টফোনের ব্রাইটনেস কতটুকু রাখা জরুরি

December 15, 2025
স্মার্টফোন

২০-৩০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা স্মার্টফোন!

December 15, 2025
wifi

ওয়াইফাই ও হটস্পটের পার্থক্য কী? অনেকেই জানেন না

December 15, 2025
Latest News
স্মার্টফোনের ব্রাইটনেস

স্মার্টফোনের ব্রাইটনেস কতটুকু রাখা জরুরি

স্মার্টফোন

২০-৩০ হাজার টাকার মধ্যে সেরা স্মার্টফোন!

wifi

ওয়াইফাই ও হটস্পটের পার্থক্য কী? অনেকেই জানেন না

প্রায় ৯ লাখ ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন

পাঁচ বছরে নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন প্রায় ৯ লাখ ভারতীয়

অস্ট্রেলিয়ায় মুসলিম যুবক

হামলাকারীর অস্ত্র ছিনিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন মুসলিম যুবক

‘গোল্ডেন প্লে বাটন’

‘গোল্ডেন প্লে বাটন’ পাওয়ার পর ইউটিউবারদের মাসিক আয় কত?

Dumbphone VS Smartphone

Dumbphone VS Smartphone: কেন নতুন প্রজন্ম ফিরে যাচ্ছে ফিচার ফোনে?

গ্রিন লাইন

ফোন ডিসপ্লের ‘গ্রিন লাইন’ সমস্যা কেন হয়, ঠিক করার উপায়

Samsung vs iPhone

Samsung vs iPhone: কোন স্মার্টফোন এগিয়ে

মোবাইল ডাটা

কল এলে মোবাইল ডাটা বন্ধ হয়? জানুন সহজ সমাধান

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.