নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে গ্রামের বাড়িতে আগামীকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
পাঁচ দিনের সরকারি সফরে আজ কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত তিনি কিশোরগঞ্জে থাকবেন।
আজ সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে কামালপুর গ্রামের সামনে ঘোড়াউত্রা নদীর তীরে হেলিপ্যাডে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। এরপর বিকাল পৌঁনে ৪টার দিকে কামালপুর নিজ বাড়ির সামনে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন তিনি। সেখানে রাত্রিযাপন করবেন রাষ্ট্রপতি।
আগামীকাল মঙ্গলবার এক দিনের সফরে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে সকাল ১০টায় মিঠামইনে নির্মাণাধীন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন করবেন তিনি। পরে কামালপুর গ্রামে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে যাবেন।
সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন রাষ্ট্রপতি। পরে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া ও বিশ্রাম শেষে বিকেলে মিঠামইন হেলিপ্যাড মাঠে জনসভায় যোগ দেবেন। সভা শেষে সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশে মিঠামইন ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার আগামীকাল হাওর উপজেলা মিঠামইন সফর উপলক্ষে তাঁকে উৎসব ও ধুমধাম করে স্বাগত জানাতে কিশোরগঞ্জবাসী এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে শুধু কিশোরগঞ্জের মিঠামইন নয়, পুরো হাওরাঞ্চলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে এলে হেলিপ্যাড থেকে জনসভার মাঠে যাওয়ার জন্য কিশোরগঞ্জ থেকে দুটি রিকশা আনা হয়।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু রাস্তার জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে রিকশায় চড়ে সামনে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় কিছুক্ষণ পর তাঁকে রিকশা থেকে নামতে হয়।’
‘সেই সময়ে রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল’-উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ বছরে যে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করেছেন তা আমাদের কল্পনার বাইরে।’
রাষ্ট্রপতির ছেলে তৌফিক বলেন, হাওর অঞ্চলে সেতু, কালভার্ট, রাস্তাসহ ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করায় হাওর অঞ্চলের মানুষ আর বঞ্চিত থাকবে না।
কিশোরগঞ্জের জলাশয়ের উপর দিয়ে এলিভেটেড হাইওয়ে বাস্তবায়িত হলে হাওরাঞ্চলের দৃশ্যপট পাল্টে যাবে ।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে কিশোরগঞ্জের মানুষ উৎসাহ ও অধীর আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছে। সমগ্র জেলা ও অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ শেখ হাসিনাকে দেখতে সমাবেশে যোগ দেবেন। হাওর অঞ্চলের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কাছে সত্যিই ঋণী, কারণ তিনি এ অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।’
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রধানমন্ত্রীর পোস্টার ও ব্যানার দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বর্ণিল তোরণ ও গেট নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে নেতারা বিলবোর্ড, ব্যানার, বেলুন, ফেস্টুন ও পোস্টার সাঁটিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।