রঞ্জু খন্দকার, গাইবান্ধা থেকে : শীতের আগমনী গেয়ে এরই মধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলে পড়তে শুরু করেছে কুয়াশা। এই আবহাওয়ায় আজ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে হয়ে গেল একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা।
খেলা দেখতে আসা কয়েকজন দর্শক বললেন, সামনে শীতের মৌসুম আসছে। এটা আসলে ফুটবলের মৌসুম। এ সময় মাঠ ফাঁকা থাকে। হাতে কাজও কমে যায়। ফলে গ্রামগঞ্জে ফুটবল খেলার ধুম পড়ে যায়।
আজকের ম্যাচে পলাশবাড়ীর পবনাপুর চরের হাট ফুটবল একাদশ ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রথের বাজার একাদশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। খেলায় ১-০ গোলে পবনাপুর জয়ী হয়। পুরস্কার হিসেবে তারা পাচ্ছে একটি এলইডি টিভি।
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে গিয়ে দেখা যায়, মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ। চারদিকে দর্শকের জায়গা না হওয়ায় মনোহরপুর উচ্চবিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন ও মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের ছাদেও অবস্থান নেয় বিপুলসংখ্যক দর্শক। কেউ উঠে পড়ে শহিদ মিনারে, গাছে।
খেলার প্রথমার্ধে দুই দলই সমানে সমান লড়ে। ফলে বিরতির আগপর্যন্ত ম্যাচ গোলশূন্য থাকে। বিরতির পর আক্রমণ -প্রতি আক্রমণে খেলা জমে ওঠে। দর্শকের উচ্ছ্বাসও বাঁধ ভাঙে। ভুভুজেলার তীব্র শব্দে সচকিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
খেলা শেষ হওয়ার মিনিট দশেক আগে পবনাপুর ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। পরে রথের বাজার অনেক চেষ্টা করেও প্রতিপক্ষের জালে বল ঢোকাতে পারেনি।
ম্যাচ দেখতে আসা আকিব আলী বলেন, তিনি নিজেও একসময় ফুটবল খেলতেন। এখন চাকরি করেন। আজ ছুটি থাকায় ম্যাচ দেখতে এসেছেন।
শুধু চাকরিজীবী আকিব আলী নন, খেলা দেখতে আসা অনেকরই হাতে এখন কাজ নেই বলে জানালেন কয়েকজন দর্শক। তাঁরা বলেন, এখন মাঠে আমন ফসল। শীতকালীন সবজিও পুরোদমে নামেনি। তা ছাড়া দুদিন ধরে আবহাওয়ায় শীতের অনুভূতি। ফলে কাজ না থাকায় দলে দলে লোকজন খেলা দেখতে এসেছেন।
ম্যাচটি দেখতে প্রায় ৫ হাজার দর্শক এসেছেন বলে কয়েকজন দাবি করলেন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ডুমুরগাছা গ্রাম থেকে খেলা দেখতে এসেছিলেন শামসুল আলম। তিনি বলেন, সামনে শীতের মৌসুমে খেলা জমবে ভালো। এ সময় মনোহরপুরসহ পাশের তালুক জামিরা, গোবিন্দগঞ্জের নাকাইহাটসহ বিভিন্ন মাঠে টুর্নামেন্ট চলে। এবারও চলবে আশা করা যায়। শুরু হবে ফুটবলের মৌসুম।
মনোহরপুরের ফাইনাল ম্যাচ শেষে এখানেও মাইকে ঘোষণা দেওয়া হলো, সামনের নভেম্বর থেকে একই মাঠে শুরু হচ্ছে আরেকটি ফুটবল টুর্নামেন্ট।
ফলে শীতকালে যে ফুটবলের মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে, তার আগাম আভাস তো পাওয়াই গেল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।