লাইফস্টাইল ডেস্ক : নওগাঁর ধামইরহাটে শখের বসে অসময়ে গ্রীষ্মকালীন তিন জাতের তরমুজ চাষ করেছেন আনোয়ার মোল্লা। প্রথমবার ৫০ শতাংশ জমিতে এই তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন তিনি। তার এই সফলতা দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন অন্য কৃষকরাও। ইব্রাহিম উপজেলার সীমান্তবর্তী ধামইরহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের কালুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। প্রথমবারেই এই তরমুজ চাষে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন বলে মনে করছেন তিনি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পাশাপাশি কম পরিশ্রমে ভালো দাম পেয়ে খুশি তিনি।
জানা যায়, শখের বসে কৃষি অফিসের পরামর্শে মালচিং পদ্ধতিতে ২৫ শতাংশ জমিতে ব্ল্যাকবেরি জাতের তরমুজ চাষের পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে মধুমতি জাতের আরও ২৫ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করেন আনোয়ার মোল্লা। মোট ৫০ শতাংশ জমিতে চাষাবাদ, বীজ ও মাচা তৈরিতে খরচ পড়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রতিটি তরমুজের ওজন প্রায় দেড় থেকে ৪ কেজি। ক্ষেতে প্রায় ৩ হাজার তরমুজে জালি দেওয়া হয়েছে। প্রতিকেজি তরমুজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। আড়াই মাসের খরচ বাদে প্রায় ২ লাখ টাকা লাভ থাকবে বলে জানান তিনি।
তরমুজ চাষি আনোয়ার মোল্লা বলেন, তরমুজ গাছ লাগানোর ৭০ থেকে ৭৫ দিনের মধ্যে ফল উঠানো শেষ। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার পিস ফল ধরেছে। ৩ হাজার পিসে নেট দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০০ মণ তরমুজ উঠানো হয়েছে। আরও উঠবে। আড়াই মাসের খরচ বাদে প্রায় ২ লাখ টাকা লাভ থাকবে।
তিনি বলেন, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ লাভজনক। পরিশ্রম করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। বছরে ৩ বার এ জাতের তরমুজ চাষ করা যায়। প্রথমবার শুধু মাচা তৈরিতে খরচ বেশি হবে। অনেকেই আমার কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আনোয়ার মোল্লাকে ২৫ শতাংশ জমিতে ব্ল্যাকবেরি তরমুজ চাষে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। তার সফলতা দেখে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করছেন। চাষিরা যেন তার মাধ্যমে তরমুজ চাষে সফলতা দেখতে পান। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি অফিস থেকে তাদের সহযোগিতা করা হবে।
না স্বামী, না সন্তান; ৩০৭ কোটির বিপুল সম্পতির মালিক কে হবে জানালেন রেখা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।