আসলে সভ্যতার উষালগ্নে কোনো এক কালে মানুষের সময়ের হিসেব রাখার প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল। অনেক মাথা খাটিয়ে তারা সূর্যঘড়ি উদ্ভাবন করে। সূর্যঘড়ি হয়তো আধুনিক মানুষের মনে আকর্ষণ বা বিস্ময় জাগায় না। অথচ এই সাধারণ একটি ঘড়ি তৈরি করতেই তাদের হয়তো কয়েক যুগ ধরে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছিল।
অনেক পরে পানিঘড়ি, বালুঘড়িসহ অন্যান্য ঘড়ি উদ্ভাবন করে মানুষ। সূর্যঘড়ি বানানো অনেক সহজ। একটা ফাঁকা জায়গায় একটা লাঠি পুঁতে এটি বানানো সম্ভব। লাঠির চারদিকে বৃত্তাকারে সময় সূচক ঘন্টার চিহ্ন বসিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে একটি সূর্যঘড়ি।
পূর্ব দিকে সূর্য উঠলে লাঠির ছায়া লম্বভাবে বৃত্তকার ঘড়িতে পড়বে। এরপর সূর্য স্থান বদলের সঙ্গে সঙ্গে ঘুরতে থাকবে লাঠির ছায়া। একেবারে আধুনিক কাঁটাঅলা ঘড়ির মতো। লাঠির ছায়া কোথায় আছে, সেটা দেখে খুব সহজেই সময় বলা যাবে। বাস্তবে কেউ দেখতে চাইলে নিজে একটা বানিয়ে দেখতে পারেন। অথবা রাজধানী ঢাকার বলধা গার্ডেনে গিয়ে দেখে আসতে পারেন।
উত্তর গোলার্ধে পৃথিবী ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘোরে। তার মানে হলো—আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে সূর্য আকাশপথে ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘোরে। এ কারণে সূর্যঘড়িতে লাঠির ছায়া বাম থেকে ডান দিকে ঘোরে। এ বিষয়টিই প্রমাণ করে, ঘড়ি প্রথম উদ্ভাবিত হয়েছিল উত্তর গোলার্ধে।
কারণ দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্য ঘড়ির ছায়া ডান থেকে বাম দিকে যায়। তাই ঘড়ি উদ্ভাবক যদি দক্ষিণ গোলার্ধের কোনো মানুষ হতেন, তাহলে আমাদের ঘড়ি আজ উল্টো দিকে ঘুরত। সেক্ষেত্রে আমাদের ঘড়ির ৩টার জায়গায় হতো ৯টা। আর ৯টার জায়গায় বসত ৩টা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।