যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত পিটার ম্যান্ডেলসনকে বরখাস্ত করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। মার্কিন দণ্ডিত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রমাণস্বরূপ ই-মেইল প্রকাশের পর বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রয়টার্স জানায়, দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময়ের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার পাশাপাশি কূটনৈতিক কৌশলে দক্ষ ম্যান্ডেলসনকে ছাড়তে হলো যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদ। প্রকাশিত ই-মেইল ও চিঠিতে দেখা গেছে, তিনি এপস্টেইনকে ‘আমার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। এমনকি ২০০৮ সালে নাবালিকা যৌন নিপীড়ন মামলায় সাজা এড়াতে এপস্টেইনকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ম্যান্ডেলসনের এপস্টেইন সম্পর্কিত যোগাযোগের গভীরতা ও পরিমাণ তাঁর নিয়োগের সময় জানা তথ্যের চেয়ে ভিন্ন ছিল। নতুন তথ্যের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার তাঁর অপসারণ চান। বুধবার পর্যন্ত ম্যান্ডেলসনের পক্ষে অবস্থান নিলেও সর্বশেষ ই-মেইল ফাঁসের পর প্রধানমন্ত্রী সমর্থন ধরে রাখতে পারেননি।
ম্যান্ডেলসন এক বিবৃতিতে স্বীকার করেন, এপস্টেইনের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্ক বজায় রাখা তাঁর ভুল ছিল এবং এজন্য তিনি গভীরভাবে দুঃখিত। তবে এ ক্ষমা প্রার্থনা স্টারমারের অবস্থান পাল্টাতে যথেষ্ট হয়নি।
রাজনীতিতে দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত ম্যান্ডেলসন ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সময়ে লেবার পার্টির সাফল্যের অন্যতম নেপথ্য কারিগর। তবে দু’বার কেলেঙ্কারির কারণে মন্ত্রিসভা থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল তাঁকে। এবারও বড় ধরনের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এলেন তিনি।
স্টারমার এমন এক সময়ে তাঁকে অপসারণ করলেন, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাজ্য সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ম্যান্ডেলসন ট্রাম্পকে সামলাতে পারদর্শী ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের মধ্যকার বাণিজ্য চুক্তিতেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
বিবিসি লিখেছে, এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পেরও এক ধরনের সম্পর্ক রয়েছে। তাই ম্যান্ডেলসনকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ট্রাম্প ব্যক্তিগত অবহেলা হিসেবেও দেখতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।