জুমবাংলা ডেস্ক : বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তঘেঁষা পশ্চিমকূল এলাকার সবজিখেতে আরও একটি মর্টার শেল পাওয়া গেছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে পশ্চিমকূলের বাসিন্দা গৃহবধূ হালিমা বেগম তাঁর খেতে মর্টার শেলটি পান।
এর আগে গতকাল শুক্রবার একই এলাকার ধানখেতে একটি এবং গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘুমধুমের নয়াপাড়া এলাকায় খোলা বিলে আরেকটি মর্টার শেল পাওয়া গিয়েছিল। এর মধ্যে নয়পাড়ার মর্টার শেলটি নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
স্থানীয় লোকজন বলেন, আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে সবজিখেতে কাজ করতে যান গৃহবধূ হালিমা বেগম। এ সময় তাঁর খেতে মর্টার শেলটি কুড়িয়ে পান। পরে সেটি হাতে করে তিনি ঘরে নিয়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা এটি ‘অবিস্ফোরিত মর্টার শেল’ জানালে তিনি সেটা তুমব্রু সড়কের ওপর রেখে দেন। পরে তুমব্রু বর্ডার অবজারভেশন পোস্টের (বিওপি) বিজিবি সদস্যরা মর্টার শেলটির দুপাশে সড়কে লাল পতাকা পুঁতে দেন।
আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, সড়কের ওপর মর্টার শেলটি পড়ে আছে। দুপাশে লাল পতাকা পুঁতে দিয়ে বাঁশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। পাশ দিয়ে আরেকটি বিকল্প পুরোনো সড়ক রয়েছে। সেটি দিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মানুষ যাতায়াত করছেন। মর্টার শেলটি যে সবজিখেতে পাওয়া যায়, সেটি থেকে মিয়ানমার সীমান্ত সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ মিটার। পাশে ওপারেই সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) তুমব্রু রাইট ক্যাম্প।
স্থানীয় লোকজন বলেন, ২ ফেব্রুয়ারি বিকেল পাঁচটার দিকে ক্যাম্পটির দখল নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি। ওই দিন প্রাণে বাঁচতে সে দেশের ৬৮ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয়ের জন্য এপারে ঢুকে পড়েন।
পশ্চিমকূলের স্থানীয় বাসিন্দা ছৈয়দুল আমিন (৪০) বলেন, এলাকায় একের পর এক মর্টার শেল পাওয়া যাচ্ছে। এসব মর্টার শেল অবিস্ফোরিত। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন লোকজন।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল পাওয়া গেছে। এর আগে গত সোমবার জলপাইতলী গ্রামে একটি মর্টার শেল পড়ে দুজন নিহত ও একজন আহত হন। একের পর এক মর্টার শেল পাওয়া যাওয়ায় আতঙ্ক কোনোভাবেই কমছে না।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel