ঘুমের মধ্যে যে কেউ নিজেকে বিপদে ফেলতে পারে। যদি ঘুমের মধ্যে কথা বলার অভ্যাস থাকে। ঠিক এমনই ঘটনা ঘটল লিভারপুলের বাসিন্দা রুথ ফোর্টের কপালে।
গত কয়েক মাস ধরে যে অপরাধ তিনি বার বার করছিলেন, ঘুমের মধ্যে তিনি তা বলে ফেলেছেণ। পাশে শুয়ে তার স্বামী অ্যান্টনি ফোর্ট সবকিছু শুনেও ফেলেছেন। আগে থেকেই তার সন্দেহ দানা বেঁধেছিল, ঘুমের মধ্যে স্ত্রী সবকিছু কবুল করতেই পুলিশকে জানিয়ে দেন অ্যান্টনি।
স্থানীয় থানায় অ্যান্টনি নিজের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, লিভারপুল ইউনিভার্সিটিতে একসঙ্গে পড়াশোনা করার পর তাদের বিয়ে হয়। তিন সন্তান রয়েছে তাদের। ধনী নন তারা। দুইজনেই আয় করে সংসার চালান।
কিছুদিন আগেই কেয়ারটেকারের চাকরি পায় তার স্ত্রী রুথ। এক অসুস্থ ও বৃদ্ধ নারীকে দেখাশোনা করে সে। অসুস্থ ওই নারী সবসময় হুইলচেয়ারে থাকেন। রুথকে তিনি বিশ্বাসও করেন। সেই বিশ্বাস এবং নারীর অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তার ব্যাংক থেকে হাজার টাকা চুরি করেছে রুথ।
অ্যান্টনি পুলিশকে আরও জানান, কিছুদিন আগেই ম্যাক্সিকোতে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন তারা। রুথ এত বাজে খরচ করছিল, যা দেখেই সন্দেহ হয়েছিল অ্যান্টনির। এত টাকা কোথা থেকে সে পেল? জিজ্ঞেস করায় রুথ জানিয়েছিল, তার আত্মীয় পাঠিয়েছেন। কিন্তু এরপরেও সন্দেহ দূর হয়নি অ্যান্টনির।
একদিন স্ত্রীর ব্যাগে একটি অচেনা এটিএম কার্ডও দেখতে পান তিনি। পুলিশের কাছে তিনি জানান, তার স্ত্রী মোট ৭ হাজার ৭০০ পাউন্ড চুরি করেছে। ঘুমের ঘোরে স্ত্রী সবকথা কবুল করতেই হতবাক হয়েছেন। মানসিকভাবে ভেঙেও পড়েছেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।