ঘুষ নেয়ায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে গণপিটুনি

জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার শিবগঞ্জে টাকা নিয়ে মাটি কাটার কাজ না দেওয়ার অভিযোগ এনে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আক্তারকে লাঞ্ছিত করেছেন কয়েকজন দুস্থ নারী।

বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। পরে তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি হন।

শিবগঞ্জ উপজেলার গড়মহাস্থান গ্রামের ফারুক হোসেনের স্ত্রী নূরজাহান বেগম, হাবিবর রহমানের স্ত্রী ছালেহা বেগম, মিলন রহমানের স্ত্রী সেলিনা আক্তারসহ ১৫ জন নারী অভিযোগ করেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আক্তার সম্প্রতি গড়মহাস্থান গ্রামে গিয়ে মাটি কাটার কাজ, বয়স্ক, বিধবা ভাতার কার্ড ও মহিলা অধিদপ্তরের সেলাই প্রশিক্ষণের কাজ দেয়ার নামে ১৫-২০ জন নারীর কাছ থেকে ৭-৮ হাজার করে টাকা ঘুষ নেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তাদের কাজ ও কার্ডের ব্যবস্থা করে না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ভুক্তভোগী নারীরা।

ফাহিমা আক্তার অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু তাকে কোনো সহযোগিতা করেন না। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের জন্য নারী উন্নয়ন ফোরামের বরাদ্দ ৩ শতাংশ দেন না। কোথায় কোন কাজ হচ্ছে তা তাকে অবহিত করা হয় না। ৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে কাজের রেজিস্টার দেখতে চাইলে চেয়ারম্যান দুর্ব্যবহার করেন। এমনকি হত্যার হুমকি দেন। থানায় গেলে জিডি নেয়া হয়নি। বিষয়টি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়। তার নামে বরাদ্দ থাকা ট্যাব দেয়া হয়নি। গত ৩০ সেপ্টেম্বর মাসিক সভায় এসব বিষয়ে কথা বললে তার সঙ্গে চেয়ারম্যান দুর্ব্যবহার করেছেন।

তিনি দাবি করেন, কারও কাছে কোনো টাকা না নিলেও চেয়ারম্যানের ষড়যন্ত্রে বুধবার বিকালে মহাস্থান পাথরপট্টির কয়েক নারী তাকে লাঞ্ছিত করেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু বলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। মাটি কাটার কাজ, বিধবা ও বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়া ও সেলাই প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা বলে সাধারণ নারীদের কাছ থেকে ৭-৮ হাজার করে টাকা ঘুষ নিয়ে কার্ড করে দেননি। সে কারণে বিক্ষুব্ধ নারীরা টাকা ফেরত চেয়ে না পেয়ে তাকে লাঞ্ছিত করেছে। ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য সঠিক তদন্তের দাবি জানাই আমি।