গোপাল হালদার, পটুয়াখালী: ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে পটুয়াখালীতে পাকা-আধপাকা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্যের বেশিরভাগ ক্ষেতই নষ্ট হয়ে গেছে।
পটুয়াখালী কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলার ৮ উপজেলার প্রায় অধিকাংশ জমির রোপণকৃত আমন ও ইরি ফসল বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। আমন ধান হেলে পড়েছে। বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় শীতের আগাম সবজিও ক্ষতির মুখে পড়েছে।
কৃষকরা বলছেন, অনাবৃষ্টির কারণে এবার নির্ধারিত সময়ে আমন আবাদ শুরু করা যায়নি। কিছু উপজেলায় সবে ধান পাকতে শুরু করেছে। এর মধ্যেই আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়া ও ভারি বৃষ্টিপাতে অনেক জমির ধান হেলে পড়েছে। ধানি জমিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। যেসব জমি এরই মধ্যে আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, তার বাইরেও অনেক ফসল দুর্যোগের প্রভাবে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামের কৃষক জাকির গাজি বলেন, এবার ৭ বিঘা জমিতে আমন ধানের রোপণ করেছি। ধানগাছে যে শীষ এসেছিল, তাতে ফলনও খুব ভালো হবে বলে মনে হয়েছে। অসময়ে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আমার বেশির ভাগ ধানগাছ মাটিতে পড়ে গেছে।
একই গ্রামের সবজি চাষি মোতালেব মিয়া বলেন, ‘নিজের জমি নাই। ৩০ শতাংশ জমি বর্গা নিয়া মুলা, শালগম, ফুলকপিসহ বিভিন্ন সবজি আবাদ করছিলাম। সব সবজি পানির নিচে তলাইয়া গেছে। এহোন জমির মালিকরে কী দিমু আর নিজেই বা কী নিমু? ক্যামনে চলবে আমার দিন। সরকারের কাছে আমরা বাঁচার জন্য সাহায্য চাই।’
ইটবারিয়া ইউনিয়নের কৃষক মোতালেব মিয়া বলেন, অনেকেই এবার ধানের আবাদ করে আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছিলেন। কেননা এবার তারা ধানে বাম্পার ফলনের আশা করেছিলেন। শেষ মুহূর্তে এসে ঝড়-বৃষ্টির জন্য চাষিদের মুখের হাসি শেষ হয়ে গেছে।
পটুয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে পটুয়াখালীতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।