জুমবাংলা ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারত ও বাংলাদেশের দিকে প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে । এরই মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ৭ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত জারি করা হয়েছে। ভারতের উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশে আরোপ করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা।
১৯৭০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ ঝড়টি এই বঙ্গোপসাগর থেকেই উৎপত্তি হয়েছিলো। তার নাম ছিল ঘূর্ণিঝড় ভোলা, ইংরেজি নাম Great Bhola Cyclone। এই ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হেনেছিলো এই বঙ্গীয় জনপদে।
ওই বছরের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ-এর) দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে ভোলা ঘূর্ণিঝড়টি। এটি সর্বকালের সবচেয়ে ভঙ্করতম প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটি। এ ঝড়ের কারণে প্রায় ৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। যার অধিকাংশই গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের সমুদ্র সমতলের ভূমিতে জলোচ্ছ্বাসে ডুবে মারা যান। এটি ১৯৭০-এর উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের ৬ষ্ঠ ঘূর্ণিঝড় এবং মৌসুমের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ছিল। এটি সিম্পসন স্কেলে ‘ক্যাটাগরি ৩’ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় ছিলো।
ঘূর্ণিঝড়টি বঙ্গোপসাগরে ৮ নভেম্বর সৃষ্ট হয় এবং ক্রমশ শক্তিশালী হতে হতে এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ১১ নভেম্বর এটির গতিবেগ সর্বোচ্চ ঘন্টায় ১৮৫ কিমি (১১৫ মাইল) এ পৌঁছায় এবং সে রাতেই তা উপকূলে আঘাত করে। ঝড়ের ফলে ৩৫ ফুট উঁচু জলচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় পূর্ব পাকিস্তানের দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল ও দ্বীপসমূহ। এতে ঐসব এলাকার বাড়ি-ঘর, গ্রাম ও শস্য স্রোতে তলিয়ে যায়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ছিল তজুমদ্দিন উপজেলা, সেখানে ১৬৭০০০ জন অধিবাসীর মধ্যে ৭৭০০০ জনই (৪৬%) প্রাণ হারায়।
পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর সেই ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছিলো। কিন্তু তৎকালীন সরকার ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়ে আনতে পূর্ব প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হয় । ফলে এত বেশি সংখ্যক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। ঝড়ের পর ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা উল্লেখযোগ্যভাবে ছিল না। এ নিয়ে ওই সময় জনমনে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছিলো।
সূত্র: উইকিপিডিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।