সব সময় দেখি, ঘোড়া দাঁড়িয়ে থাকে, এমনকি ঘুমায়ও দাঁড়িয়ে। তাই সহজে প্রশ্ন জাগে না। কিন্তু এটা যে সে কথা নয়। এমন বিশাল শরীর নিয়ে ঘোড়া কেন সব সময় দাঁড়িয়ে থাকে? এর সহজ উত্তর হলো, দাঁড়িয়ে থাকলে একটা সুবিধা আছে। কেউ হঠাৎ আক্রমণ করলে চট করে দৌড়ে পালানো যায়। বসে থাকলে সে সুযোগটা কম। তাই ঘোড়া সব সময় দাঁড়িয়ে থাকে। সেটা সেই আদি যুগের কথা। যখন ওরা বনে–জঙ্গলে থাকত। বাঘ–সিংহের ভয় ছিল। এখন শহরে বা গ্রামে সে ভয় নেই।
যাক, বুঝলাম সবই। কিন্তু আক্রমণের ভয়ে দাঁড়িয়ে থাকার ব্যাখ্যাটা সহজে কেউ মেনে নেবে না। কারণ আমরা দেখছি গরু তো শুয়ে ঘুমায়। তার কি বাঘ–সিংহের ভয় নেই বা আদিম যুগে ছিল না? নাকি শিং আছে বলে তাদের সাহস বেশি? না, তা নয়। আসলে ঘোড়ার শারীরিক গঠনটাই এমন যে দাঁড়িয়ে থাকলে তাদের শরীরের পেশিগুলো সহজে প্রশান্তি লাভ করে। রিল্যাক্স হয়। তাই দাঁড়িয়ে থাকাটা তার জন্য তেমন সমস্যা না।
তবে মাঝেমধ্যে রেম (REM, Rapid Eye Movement) স্লিপের সময় ওরা শুয়ে ঘুমায়। রেম স্লিপ হলো একটু গভীর ঘুম, যখন চোখের মণি খুব দ্রুত নড়াচড়া করে। এ সময় মস্তিষ্ক সারা দিনের স্মৃতি সংগঠিতভাবে সাজিয়ে রাখে। মানুষেরও রেম স্লিপ হয়। কিন্তু ঘোড়ার রেম স্লিপ খুব কম সময় থাকে। এরপরই ওরা জেগে উঠে দাঁড়ায়। বেশিক্ষণ কেন শুয়ে ঘুমায় না? এর কারণ ভারী শরীরে বেশিক্ষণ শুয়ে থাকলে ঘোড়ার শরীরের সব জায়গায় অবাধ রক্ত চলাচল হয় না। এ অবস্থায় বেশিক্ষণ শোয়া কঠিন। কিছুক্ষণ পর রেম স্লিপ শেষে উঠে দাঁড়ালে ধীরে ধীরে সারা শরীরে রক্ত চলাচল শুরু হয়।
এখন একটি মৌলিক প্রশ্ন। হরিণ কীভাবে শুয়ে ঘুমায়। বাঘ–সিংহের ভয় তো তাদের বরং বেশি? হ্যাঁ, এটা ঠিক। তাদের বিপদ আরও বেশি। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, হরিণ শুয়ে ঘুমায় বটে, তবে কিছুক্ষণ পরপরই ওরা চোখ পিটপিট করে তাকায় আধা ঘুম অবস্থায়। তখন বিপদ দেখলেই দে ছুট!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।