চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পারসোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) ও মাস্ক (ফেস কভার) দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত নির্মাণকারী শিল্পগ্রুপ কেএসআরএম।
রবিবার (৫ এপ্রিল) বিকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের হাতে কেএসআরএম-এর পক্ষে এসব পিপিই ও মাস্ক তুলে দেন প্রতিষ্ঠানের মিডিয়া অ্যাডভাইজর মিজানুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
কেএসআরএম-এর মিডিয়া অ্যাডভাইজর মিজানুল ইসলাম জুমবাংলাকে বলেন, ‘দুর্যোগকালীন সময় ছাড়াও দেশ ও দেশের সাধারণ মানুষের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকে কেএসআরএম। সেই ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কেএসআরএম বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পিপিই ও মাস্ক প্রদান করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এসব অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ হস্তান্তর করা হয় প্রতিষ্ঠানের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহানের পক্ষ থেকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী কেএসঅঅরএম প্রয়োজনে আরও পিপিই ও মাস্ক সরবরাহ করবে।’
মিজানুল আরও বলেন, ‘সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের সাথে কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের কথা হয়েছে। ওই সময় আশ্বস্থ করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বস্তিতে অর্থ ও খাদ্য সংকট দেখা দিলে সেখানে নগদ অর্থ ও ত্রাণ সরবরাহ করবে কেএসআরএম। পাশাপাশি নগরী ও নগরীর বাইরে কেএসএসএমের মালিকানাধীন যেসব খালি প্লট রয়েছে সেখানে সরকার ও প্রশাসনের চাহিদা অনুসারে কোয়ারেন্টাইন চালু করার জন্য সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে। তবে এসবের সব কিছুই করা হবে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে।’
পিপিই ও মাস্ক হস্তান্তরের সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন বলেন, ‘কেএসআরএম দেশের যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এ অঞ্চলের যেকোনো দুর্যোগে আমরা তাদের কাছে পেয়ে থাকি।’
তিনি বলেন, ‘কেএসআরএম-এর দেওয়া পিপিই চট্টগ্রামের চিকিৎসকদের চিকিৎসা প্রদানে সহায়তা করবে। যেসব চিকিৎসক পিপিই না থাকার কারণে চিকিৎসা দিতে ভয় পাচ্ছেন, তাদের ভয় দূর হবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি হাসপাতালে পিপিই সরবরাহ করা হবে পর্যায়ক্রমে। প্রত্যেক চিকিৎসক পিপিই পরিধান করে চিকিৎসা দিতে পারবেন। এর ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শংকা থাকবে না চিকিৎসকদের।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।