
জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৩৩ জনের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ১৪ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ সময়ে করোনা আক্রান্ত ২ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর ৮টি ল্যাবে ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে রোববার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ২৩৩ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২০৭ জন ও ১০ উপজেলার ২৬ জন।
উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বোচ্চ ১২ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৩ জন, আনোয়ারা, রাউজান ও ফটিকছড়িতে ২ জন করে এবং মিরসরাই, সীতাকু-, পটিয়া, বাঁশখালী ও লোহাগাড়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ২৬ হাজার ৬৪৩ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২০ হাজার ২৬৩ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৩৮০ জন।
রোববার করোনা আক্রান্ত দুই রোগীর মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা এখন ৩২৪ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ২২৯ জন ও গ্রামের ৯৫ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ২১৩ জন। জেলায় মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ২৪ হাজার ৭৬৬ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৫৮৯ জন, ঘরে থেকে ২১ হাজার ১৭৭ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হয়েছেন ২২ জন, ছাড়পত্র নেন ৯৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ২৪৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৪৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৯ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪২২ জনের নমুনার মধ্যে ৭৬ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৩৪ জন জীবাণুবাহক বলে চিহ্নিত হন। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৭০ টি নমুনার ২৩ টিতে ভাইরাস পাওয়া গেছে। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৯টি নমুনার ৫ টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ২৩৩ নমুনায় ৩৫ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১১২ টি নমুনার মধ্যে ৩৬ টি এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২৪ টির ৫ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এদিন চট্টগ্রামের ৭৭ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসে গতকালসহ চারদিন সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা দুইশ’ অতিক্রম করলো এবং টানা দুইদিন দু’জনের করে মৃত্যু হলো। ১ ডিসেম্বর ২৬০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণের হার ছিল ১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং করোনা আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়। ৪ ডিসেম্বর ২৪০ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। এদিন করোনা আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ২ ডিসেম্বর ২৩১ জনের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ সময়ে করোনা আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি। ৫ ডিসেম্বর এ মাসের সর্বনি¤œ ১৪৭ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। হার ছিল ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ, তবে এদিনও ২ রোগীর মৃত্যু হয়।
ল্যাবভিত্তিক গতকালের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ, চমেকে ১৮ শতাংশ, চবি’তে ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ, চবিতে ২৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ, সিভাসু’তে ৩২ দশমিক ৮৬ শতাংশ, আরটিআরএলে ৫৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ, শেভরনে ১৫ দশমিক ০২ শতাংশ, ইম্পেরিয়ালে ৩২ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।