জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন ৬১৬ জনের নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ২৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। একই সময়ে আরোগ্য লাভ করে ৫৬১ জন।
আজ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
রিপোর্টে দেখা যায়, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ এবং চট্টগ্রামের দশটি ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার ২ হাজার ৫৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ৬১৬ জন পজিটিভ শনাক্ত হন।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৬৭ জন ও ১৩ উপজেলার ২৪৯ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ৬৭ জন, রাউজানে ৩৬ জন, বোয়ালখালীতে ২৮ জন, আনোয়ারা ও সাতাকানিয়ায় ২৪ জন করে, পটিয়ায় ১৮ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১২ জন, ফটিকছড়ি ও মিরসরাইয়ে ১০ জন করে, চন্দনাইশ ও সীতাকু-ে ৭ জন করে, বাঁশখালীতে ৪ জন এবং লোহাগাড়ায় ২ জন রয়েছেন।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ৯৩ হাজার ৮৮৪ জনে এসে দাড়ালো। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬৯ হাজার ৪১ জন ও গ্রামের ২৪ হাজার ৮৪৩ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল করোনায় শহরের তিন ও গ্রামের ৫ রোগীর মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ১১১ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৬৪৩ জন ও গ্রামের ৪৬৮ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৫৬১ জন। জেলায় মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৬০ হাজার ৩৪১ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৮ হাজার ৬৮২ জন এবং ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৫১ হাজার ৬৫৯ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৪১৫ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৩৮৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪ হাজার ৪৫২ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৭৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ও গ্রামের ৪৩ জন করে জীবাণুবাহক পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২৭৭ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৮৬ ও গ্রামের ১৬ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন।
ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ২৬৯ টি নমুনার মধ্যে শহরের ১০ ও গ্রামের ৮৮ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ২৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৪০ ও গ্রামের ৪০ জনের শরীরে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়।
নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ২৯২ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ১৯ ও গ্রামের ৪২ জন সংক্রমিত বলে জানানো হয়।
নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ২৪ টি নমুনায় শহরের ১১ ও গ্রামের ৪ টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২০৭ টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ২ টিসহ ৩৩ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৪০ নমুনার মধ্যে শহরের ২০ টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ৫৯ টি নমুনায় শহরের ৯ ও গ্রামের ৩ টি, মেডিকেল সেন্টারে ৩৫ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৩ টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ২১৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৮৫ ও গ্রামের ১১ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এদিন চট্টগ্রামের ৪১ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক গতকালের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বিআইটিআইডি’তে ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ, চমেকে ৩৬ দশমিক ৮২, সিভাসু’তে ৩৬ দশমিক ৪৩, চবি’তে ৩১ দশমিক ১৩, এন্টিজেন টেস্টে ২০ দশমিক ৮৯, আরটিআরএলে ৬২ দশমিক ৫০, শেভরনে ১৫ দশমিক ৯৪, ইম্পেরিয়ালে ১৪ দশমিক ২৮, মা ও শিশু হাসপাতালে ২০ দশমিক ৩৪, মেডিকেল সেন্টারে ৩৭ দশমিক ১৪, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৫ দশমিক ০৭ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।