জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে প্রায় আড়াই মাসের মধ্যে করোনাভাইরাসের সর্বনিম্ন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৪০ জনের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সর্বশেষ ১৯ জুন এর চেয়ে কম ১৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে এ সময়ে ৫ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এসব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও নগরীর আটটি ল্যাবে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ১৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ১৪০ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের ৮৯ ও ৮ উপজেলার ৫১ জন। সংক্রমণের হার ১২ দশমিক ১২ শতাংশ। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাউজানে সর্বোচ্চ ১৫, ফটিকছড়ি ও লোহাগাড়ায় ১০ জন করে, সাতকানিয়ায় ৬, চন্দনাইশ ও সীতাকু-ে ৪ করে, হাটহাজারী ও বাঁশখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৯৯ হাজার ৬২৬ জন। এর মধ্যে শহরের ৭২ হাজার ৪২৩ ও গ্রামের ২৭ হাজার ২০৩ জন।
গতকাল করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে শহরের ৩ ও গ্রামের ২ জন মারা যান। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ২৩৭ জন হয়েছে। এর মধ্যে শহরের ৬৯২ ও গ্রামের ৫৪৫ জন। আরোগ্যলাভ করেছেন নতুন ৫৮৩ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৭২ হাজার ৫৭৫ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯ হাজার ৮৪৫ জন। বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৬২ হাজার ৭৩০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১৫৯ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৪০৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৯৯৫ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৪৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪১ ও গ্রামের ২৯ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১১৫ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৯ ও গ্রামের ১৫ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৪টি নমুনায় শহরের ২ ও গ্রামের ১টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ৫৬ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ৬ ও গ্রামের ৩ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৮টি নমুনায় শহর ও গ্রামের ২টি করে পজিটিভ পজিটিভ চিহ্নিত হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবগুলোর মধ্যে শেভরনে ২৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১০৩ নমুনায় শহরের ৬টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৬ নমুনার মধ্যে শহরের ৫টি, মেডিকেল সেন্টারে ১২ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৬৪ নমুনায় গ্রামের একটিসহ ১৪টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। এদিন চট্টগ্রামের একজনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ আসে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ১৪ দশমিক ১৭ শতাংশ, চবি’তে ২০ দশমিক ৮৭, সিভাসু’তে ১২ দশমিক ৫০, এন্টিজেন টেস্টে ১৬ দশমিক ০৭, আরটিআরএলে ৫০ শতাংশ, শেভরনে ১ দশমিক ২৯, ইম্পেরিয়ালে ৫ দশমিক ৮৩, মা ও শিশু হাসপাতালে ১০ দশমিক ৮৭, মেডিকেল সেন্টারে ১৬ দশমিক ৬৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ২১ দশমিক ৮৭ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।