জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন ৫০৭ জনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ২১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল আটটি ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে চট্টগ্রামের ২ হাজার ৩৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ৫০৭ জীবাণুবাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৭৪ জন এবং তেরো উপজেলার ১৩৩ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৯১ হাজার ২৮ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬৭ হাজার ২৬৮ জন ও গ্রামের ২৩ হাজার ৭৬০ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ফটিকছড়িতে সর্বোচ্চ ৩৭ জন, সীতাকু-ে ২১ জন, পটিয়ায় ১৯ জন, হাটহাজারীতে ১৮ জন, মিরসরাইয়ে ৯ জন, আনোয়ারায় ৮ জন, বাঁশখালীতে ৫ জন, বোয়ালখালী ও রাউজানে ৪ জন করে, সাতকানিয়ায় ৩ জন, রাঙ্গুনিয়া ও চন্দনাইশে ২ জন করে এবং সন্দ্বীপে ১ জন রয়েছেন।
গতকাল করোনায় শহরের ৫ জন ও গ্রামের ৮ জনের মৃত্যু হয়। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৭২ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬২৬ জন ও গ্রামের ৪৪৬ জন। সুস্থতার সনদ দেয়া হয় ২৫৭ জনকে। ফলে জেলায় মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫৮ হাজার ২১৩ জনে। এদের ৮ হাজার ৩৩৩ জন হাসপাতালে ও ৪৯ হাজার ৮৮০ জন বাসায় চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ৩৯০ জন, ছাড়পত্র নেন ২৭৭ জন। বর্তমানে ৪ হাজার ৪৬৪ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৭৮৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ১১৭ টি ও গ্রামের ৩৭ টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ৫৯৩ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ৫৫ ও গ্রামের ৪৯ জনকে তাৎক্ষণিক পজিটিভ বলে জানানো হয়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। এরা সবাই শহরের বাসিন্দা। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ২৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের শহরের ১১ ও গ্রামের ৭ টিতে জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া যায়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে পরীক্ষিত ৩৬৬ জনের নমুনায় গ্রামের ৬ জনসহ ৪৮ জন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২২৪ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৪৪ ও গ্রামের ১২ জন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একজনসহ ১৭ জন, মেডিকেল সেন্টারে ৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের একজনসহ ১৫ জন এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ১৭৮ নমুনার মধ্যে শহরের ৬৩ ও গ্রামের ২০ জন করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় (চবি) ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবেও পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ, চমেকে ১৫ দশমিক ১৯, এন্টিজেন টেস্টে ১৭ দশমিক ৫৩, আরটিআরএলে ৬২ দশক ০৭, শেভরনে ১৩ দশমিক ১১, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৫ শতাংশ, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬ দশমিক ১৫, মেডিকেল সেন্টারে ২৮ দশমিক ৩০ এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৬দশমিক ৬৩ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।