চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: বন্দর নগরী চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকালের সর্বোচ্চ ৭১৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। একই সময়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ জন মারা গেছেন।
এর আগে চট্টগ্রামে একদিনে সর্বোচ্চ ৬৬২ শনাক্ত এবং ১১ জন মারা যাওয়ার রেকর্ড ছিল।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, চট্টগ্রামের ৯ টি ল্যাব, এন্টিজেন টেস্ট ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে গতকাল বুধবার জেলার ২ হাজার ১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ৭১৩ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। সংক্রমণের হার ৩৩ দশমিক ৮১ শতাংশ।
সর্বশেষ আক্রান্ত ৭১৩ জনের মধ্যে শহরের ৪৭৭ ও ১১ উপজেলার ২৩৬ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বোচ্চ ৫৮, সীতাকুন্ডে ৩৩, রাউজানে ২৭, ফটিকছড়িতে ২০, মিরসরাইয়ে ১৭, সন্দ্বীপে ১৫, বোয়ালখালীতে ১৪, চন্দনাইশে ১৩, সাতকানিয়ায় ১২, রাঙ্গুনিয়ায় ৯, লোহাগাড়ায় ৭, আনোয়ারায় ৬ ও বাঁশখালীতে ৫ জন রয়েছেন।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৬২ হাজার ৯১৩ জন। এর মধ্যে শহরের ৪৮ হাজার ৭৭২ ও গ্রামের ১৪ হাজার ১৪১ জন।
গতকাল করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে শহরের ২ ও গ্রামের ৭ জনের মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৭৪৪ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ৪৮৬ ও গ্রামের ২৫৮ জন। সুস্থ্যতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১৫৭ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৫০ হাজার ৪৯২ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ৮১০ও বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ্য হন ৪৩ হাজার ৬৮২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১৯৮ এবং ছাড়পত্র নেন ১৫৭ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৬৩৯ জন।
৫ জুলাই সংখ্যা ও হারে চট্টগ্রামে ভাইরাসের সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল। এদিন ৬৬২ জন সংক্রমিত হন। আক্রান্তের হার ছিল ৩৫ দশমিক ০২ শতাংশ এবং ৯ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। ৬ জুলাই সংখ্যায় কিছুটা কমলেও সংক্রমণ হার করোনাকালের সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ নির্ণিত হয়। এ সময়ে ৬১১ জনের নমুনায় ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয় ও ৪ রোগী মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ৯ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি মাসের প্রথম সাত দিনে ৩৭ জনের মৃত্যু হলো। অথচ জুন মাসের প্রথম সাত দিনে মৃতের সংখ্যা ছিল এর এক-চতুর্থাংশেরও কম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।