জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ সময় কোনো করোনা রোগির মৃত্যু হয়নি।
চট্টগ্রামের হালনাগাদ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্ট থেকে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গতকাল সোমবার ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর নয় ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ২৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১০ জনের মধ্যে শহরের ৭ এবং দুই উপজেলার ৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে একজন ও সীতাকু-ে ২ জন রয়েছেন। জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ২ হাজার ৫২২ জনে। এর মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ১৮৪ ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩৩৮ জন। গতকাল শহর ও গ্রামে করোনায় আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৩ ও গ্রামের ৬০৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে। এখানে ৩৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে একজন জীবাণুবাহকও পাওয়া যায়নি। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩২১টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের দুইটিতে জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৬ জনের নমুনায় শহরের ২ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলেছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১১টি নমুনায় একটিতে ভাইরাস চিহ্নিত হয়। জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে শহরের ২ বাসিন্দার নমুনা পরীক্ষা হয়। দু’টিরই পজিটিভ রেজাল্ট আসে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৫৫ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের একজন আক্রান্ত শনাক্ত হন। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৬৩ নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একটিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৮ নমুনার মধ্যে শহরের একজনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে।
এদিকে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৩৪, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৯৪ ও নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ৯ টির এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। দুই ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে ১৩৭টি নমুনার সবগুলোর রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
এদিন চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি। নগরীর ল্যাব এইড ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালেও করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটআইডি’তে ০ দশমিক ৬২, চবি’তে ৩৩ দশমিক ৩৩, সিভাসু’তে ৯ দশমিক ০৯, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০ দশমিক ৩৯, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ০ দশমিক ৬১, এপিক হেলথ কেয়ারে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং আরটিআরএলে শতভাগ। এ ছাড়া চমেকহা, শেভরন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ও এন্টিজেন টেস্টে আক্রান্তের হার ছিল ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।