জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা ও হার দু’টোই বেড়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২২২ জন নতুন বাহক শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ। তবে এ সময়ে শহর ও গ্রামে করোনায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, শাহ আমানত বিমান বন্দর, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর এগারো ল্যাবরেটরিতে গতকাল ১ হাজার ৭৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ২২২ জনের মধ্যে শহরের ১৭৪ ও উপজেলার ৪৮ জন। উপজেলার ৪৮ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে ১২ জন, রাউজান ও ফটিকছড়িতে ৮ জন করে, সাতকানিয়ায় ৬ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৫ জন, মিরসরাইয়ে ৩ জন, সীতাকু- ও বাঁশখালীতে ২ জন করে এবং পটিয়া ও বোয়ালখালীতে একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৩ হাজার ৬৩২ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৫ হাজার ১২৫ জন এবং গ্রামের ২৮ হাজার ৫০৭ জন। গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩৫ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৫ ও গ্রামের ৬১০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকালও সবচেয়ে বেশি ৪২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ৯ ও গ্রামের ১৭ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৬২ জনের নমুনায় শহরের ৩০ ও গ্রামের একজন পজিটিভ শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১১টি নমুনার মধ্যে শহরের ২টিতে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে পরীক্ষিত ৫০ জনের নমুনায় শহরের ২৬ জন আক্রান্ত পাওয়া যায়। বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩৪ ও গ্রামের ৮ জন সংক্রমিত মিলেছে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬২টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২ ও গ্রামের ৪টিতে জীবাণু পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১২৪টি নমুনার মধ্যে শহরের ৪ ও গ্রামের ২টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৩ জনের নমুনায় শহরের ২১ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। ল্যাব এইডে ৩টি নমুনার ২টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৫৮ জনের নমুনায় শহরের ২০ জনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলেছে। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১৪৮টি নমুনার মধ্যে শহরের ১ ও গ্রামের ৮টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। শাহ আমানত বিমানবন্দর ল্যাবে ১৭৬ জনের নমুনায় ৪ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্র ৮৯ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ১৯ ও গ্রামের ৮ জনকে সংক্রমিত বলে চিহ্নিত করা হয়।
এ দিন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে শেভরনে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ, চমেকহা’য় ৫০, চবি’তে ১৮ দশমিক ১৮, আরটিআরএলে ৫২, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১১ দশমিক ৯০, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২ দশমিক ৯২, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৪ দশমিক ৮৪, এপিক হেলথ কেয়ার ৬৩ দশমিক ৬৩, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৩৪ দশমিক ৪৮, ল্যাব এইডে ৬৬ দশমিক ৬৬, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৬ দশমিক ০৮, শাহ আমানত বিমানবন্দর ল্যাবে ২ দশমিক ২৭ এবং এন্টিজেন টেস্টে ৩০ দশমিক ৩৩ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।