জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৭৩৮ জনের দেহে নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ২৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। তবে এ সময়ে শহর ও গ্রামে করোনায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, শাহ আমানত বিমানবন্দর, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর ৯ ল্যাবরেটরিতে গতকাল ৩ হাজার ১১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৭৩৮ জনের মধ্যে শহরের ৬৪৭ ও ১৩ উপজেলার ৯১ জন। উপজেলার ৯১ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে ২১, সীতাকু-ে ১৫, বোয়ালখালীতে ১৪, সাতকানিয়ায় ১৩, বাঁশখালীতে ৫, রাউজান ও পটিয়ায় ৪ জন করে, চন্দনাইশ, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়িতে ৩ জন করে এবং সন্দ্বীপ, লোহাগাড়া ও আনোয়ারায় ২ জন করে রয়েছেন। মিরসরাই ও কর্ণফুলী উপজেলায় কোনো আক্রান্ত মিলেনি। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৬ হাজার ৪৫৭ জনে। এর মধ্যে শহরের ৭৭ হাজার ৪৩৮ এবং গ্রামের ২৯ হাজার ১৯ জন। গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪০ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৬ ও গ্রামের ৬১৪ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৫৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ৪৪ ও গ্রামের ২০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩৮১টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১১০ টিতে জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২১০ জনের নমুনায় শহরের ৮৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৪৬টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩০টিতে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ল্যাবে ৬৭৩ বিদেশগামীর নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩৪ জন সংক্রমিত মিলেছে। এদের যাত্রা বাতিল করা হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ২৭০ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে শহরের ৬৮ ও গ্রামের ৬০ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩০৩টি নমুনার মধ্যে শহরের ৭৮টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৫২টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩৯ ও গ্রামের ১১টিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১০২টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১৮টিতে ভাইরাস চিহ্নিত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ১২৪ জনের নমুনায় শহরের ৭৫ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১০৩টি নমুনার মধ্যে শহরের ৫০টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১১৩টি নমুনায় শহরের ১৩টিতে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলেছে। চট্টগ্রামের একটি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় সেটির রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় , চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে শেভরনে ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২৮ দশমিক ৮৭, চমেকহা’য় ৪১ দশমিক ৯০, আরটিআরএলে ৬৫ দশমিক ২১, এন্টিজেন টেস্টে ৪৭ দশমিক ৪০, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৫ দশমিক ৭৪, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৯ দশমিক ৮৪, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৭ দশমিক ৬৪, এপিক হেলথ কেয়ার ৬০ দশমিক ৪৮, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৪৮ দশমিক ৫৪, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১১ দশমিক ৫০ ও শাহ আমানত বিমানবন্দর ল্যাবে ৫ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।