জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামে ফ্লাইওভার থেকে পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার ৪ দিন পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪.৫০ নাগাদ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম খুলশী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান। এঘটনায় পরিবার থেকে অজ্ঞাতনামা করে একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এর আগে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রামের ফ্লাইওভারের ওপর থেকে নিচে পড়া অবস্থায় জিওএস মোড়ে থেকে ওই শিক্ষার্থীকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে খুলশী থানা পুলিশ। পরে চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে নেন।
আকবর হোসেন খান নামের ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাসা মৌলভীবাজার সদরে। সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজনে শিক্ষার্থীর সাথে পুরান ঢাকার কলতাবাজারের একটি মেসবাড়িতে থাকতো। ওই শিক্ষার্থীর মেসমেট ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাকিম জানান, ‘শুক্রবার সকালে তিনি বাসা থেকে ব্যাগ আর ল্যাপটপ নিয়ে বের হন।
সারাদিন মেসের যাদের সাথে কথা হয়েছে সবাইকে বলেছেন রাতের মধ্যে চলে আসবেন, কিন্তু ঠিক কোথায় আছেন কাউকে সঠিক করে বলেননি। সর্বশেষ রাত ৯.৩৭ এ কথা বলার সময়ও বলেন বাসায় আসবেন। এরকিছু সময় পর রাত ৯.৫৪ এর দিকে আমাদের কাছে ফোন আসে ফ্লাইওভার থেকে পড়ে গুরুত্বর অবস্থায় ওনাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। ওনার সাথে ব্যাগ, ফোন, টাকা সব থাকলেও ল্যাপটপটা পাওয়া যায়নি।’
খুলশী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘ওনার পরিবার থেকে একটি মামলা করা হয়েছে, আমরা তদন্ত করছি। কোনো ক্রিমিনাল অফেন্স আছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ৪ দিন আগে ছেলেটা চট্টগ্রাম জিওএস মোড় ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞান, মাথার পেছনে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ফ্লাইওভার থেকে পড়ে ও আহতবস্থায় আইসিইউতে লাইফসাপোর্টে ছিলো চট্টগ্রাম মেডিকেলে। আজ ভোর ৪.৫০ এর সময় মারা যায়। পুলিশ ফ্লাইওভারের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছে, কি ঘটেছিলো খতিয়ে দেখার জন্য। আমরা ঘটনা জানার পরপরই হাসাপাতাল, থানা সহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলেছি, খোঁজখবর রেখেছি। ও যাদের সাথে মেসে থাকতো তাদের সাথে কথা বলেছি। পুলিশ বিষয়টি খুবই আন্তরিকতার সাথে দেখছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।