জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২০৬ জনের নমুনায় জীবাণুর উপস্থিতি শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ১৩ দশমিক ০১ শতাংশ। এ সময় করোনায় আক্রান্ত ৫০৬ জন আরোগ্যলাভ করেন এবং ২ রোগীর মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে এসব তথ্য জানা যায়।
এতে দেখা যায়, নগরীর আটটি, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ২০৬ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের ১২১ জন ও ১১ উপজেলার ৮৫ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ১৬, লোহাগাড়ায় ১২, রাউজানে ১১, সীতাকু-ে ১০, ফটিকছড়ি ও রাঙ্গুনিয়ায় ৯ জন করে, মিরসরাই ও সাতকানিয়ায় ৭ জন করে, বোয়ালখালীতে ২ জন এবং আনোয়ারা ও সন্দ্বীপে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৯৯ হাজার ৩৪১ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭২ হাজার ২২৮ জন ও গ্রামের ২৭ হাজার ১১৩ জন।
গতকাল করোনায় আক্রান্ত গ্রামের দুই জন মারা যান। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ২২৭ জন হয়েছে। এতে শহরের ৬৮৮ জন ও গ্রামের ৫৩৯ জন। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন নতুন ৫০৬ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৭১ হাজার ৪৬৪ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৯ হাজার ৭৯৯ জন এবং বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৬১ হাজার ৬৬৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩০ জন এবং ছাড়পত্র নেন ৩৮৩ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২ হাজার ৪২৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৫৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহর ও গ্রামের ৪৩ জন করে জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২০৪ টি নমুনার মধ্যে শহরের ১২ ও গ্রামের ১৪টিতে করোনার জীবাণুর উপস্থিতি মিলে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৭৪ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ৩ জনসহ ১৭ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২৭টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬ ও গ্রামের ২০টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের ২টিসহ ১৪টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৭২টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ১টিসহ ৫টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৪টি নমুনায় শহরের ৭ ও গ্রামের ২ টি, মেডিকেল সেন্টারে ১১ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫টি এবং এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ৬৫টি নমুনায় শহরের ১৮টিতে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ৭ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ গতকাল নমুনা পরীক্ষা না করার পাশাপাশি শহর ও গ্রামের কোনো বুথেই এন্টিজেন টেস্ট করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১৫ দশমিক ২২, সিভাসু’তে ১২ দশমিক ৭৪, চমেকে ৯ দশমিক ৭৭, চবিতে ২০ দশমিক ৪৭, শেভরনে ৪ দশমিক ৪৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬ দশমিক ৯৪, মা ও শিশু হাসপাতালে ২০ দশমিক ৪৫, মেডিকেল সেন্টারে ৪৫ দশমিক ৪৫, এপিক হেলথ কেয়ারে ২৭ দশমিক ৬৯ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।