জুমবাংলা ডেস্ক: পর পর দুইদিন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যা ও হার দু’টোই কমেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ জন নতুন বাহক শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ সময়ে শহর ও গ্রামে করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি সম্পর্কে আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর ১২ ল্যাবরেটরিতে গতকাল ২ হাজার ২৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৩৫ জনের মধ্যে শহরের ১২ ও নয় উপজেলার ২৩ জন। উপজেলার ২৩ জনের মধ্যে মিরসরাইয়ে ৮ জন, হাটহাজারী ও ফটিকছড়িতে ৩ জন করে, রাউজান, সীতাকু- ও বাঁশখালীতে ২ জন করে এবং আনোয়ারা, পটিয়া ও বোয়ালখালীতে একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ২৫৯ জনে। এর মধ্যে শহরের ৯১ হাজার ৮২৪ এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৪৩৫ জন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে এর আগের দু’দিন করোনাভাইরাস সংক্রমণের উর্দ্ধমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। ২০ ফেব্রুয়ারি ৪৭ দিন পর রোগির সংখ্যা পঞ্চাশের নিচে নামলেও ২১ ফেব্রুয়ারি ৬১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি ৭৮ জন শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৭২ শতাংশ থেকে বেড়ে যথাক্রমে ২ দশমিক ৪২ এবং ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ হয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৪৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ৩ ও গ্রামের ২ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২৫৭ জনের নমুনায় শহরের ২ ও গ্রামের ৬ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৯২ জনের নমুনায় শহরের ২ ও গ্রামের ৩ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৮টি নমুনার মধ্যে গ্রামের একটিতে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৯ টি নমুনায় গ্রামের একজন আক্রান্ত পাওয়া যায়। বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৫টি নমুনায় শহরের একটিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ২২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একজনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২০১টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১ ও গ্রামের ২টিতে জীবাণু পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩১৬টি নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে জীবাণুর অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ২শ’ জনের নমুনায় শহরের একজনের পজিটিভ আসে। মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবগুলোরই নেগেটিভ আসে। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ২৮৩টি নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৩৮ জনের নমুনায় একজন আক্রান্তও পাওয়া যায়নি। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্র ৩৫ জনের এন্টিজেন টেস্টে গ্রামের ৭ জনকে সংক্রমিত বলে চিহ্নিত করা হয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, শেভরনে ১ দশমিক ১১ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৩ দশমিক ১১, চমেকহা’য় ৫ দশমিক ৪৩, চবি’তে ২ দশমিক ৬৩, সিভাসু’তে ৫ দশমিক ২৬,আরটিআরএলে ২০, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০ দশমিক ৪৪, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১ দশমিক ৪৯, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ০ দশমিক ৩১, এপিক হেলথ কেয়ার ০ দশমিক ৫০, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ০ দশমিক ৩৫ এবং মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হসপিটালে ০ শতাংশ। এন্টিজেন টেস্টে হার নির্ণিত হয় ২০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।