জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রাম জেলায় করোনায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ১ হাজার ১৬৭ জনের দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৩১ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠনো আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা গেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, নগরীর ১২ ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল ৩ হাজার ৬৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ১ হাজার ১৬৭ জনের মধ্যে শহরের ৮৮৭ ও ১৫ উপজেলার ২৮০ জন। উপজেলার ২৮০ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে ৫৩, রাউজানে ৪০, ফটিকছড়িতে ৩২, রাঙ্গুনিয়া ও আনোয়ারায় ২৪ জন করে, পটিয়ায় ১৮ জন, মিরসরাই ও বোয়ালখালীতে ১৬ জন করে, চন্দনাইশে ১২, সীতাকু-ে ১১, লোহাগাড়া ও বাঁশখালীতে ১০ জন করে, সন্দ্বীপে ৮, সাতকানিয়ায় ৫ এবং কর্ণফুলী উপজেলায় একজন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১৭ হাজার ২০৩ জন। এর মধ্যে শহরের ৮৫ হাজার ৫২৪ এবং গ্রামের ৩১ হাজার ৬৭৯ জন।
গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শহরের এক ও গ্রামের ৩ রোগি মারা যান। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৫৪ জন হয়েছে। এতে শহরের ৭৩০ ও গ্রামের ৬২৪ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৫৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ১১৪ ও গ্রামের ৫৩ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৫৭২টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২৩৫ টিতে জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৩০৬ জনের নমুনায় শহরের ১২৫ ও গ্রামের ১৩ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১০০ নমুনার মধ্যে শহরের ২৭ ও গ্রামের ৩টি আক্রান্ত চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা হলে শহরের ১০৪ ও গ্রামের ২২ জনের শরীরে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ২০ নমুনায় শহরের ২টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ২৮৮ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৬৭ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৫২৯টি নমুনার মধ্যে শহরের ১০৪ ও গ্রামের ৩৬টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬১টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৪৯ ও গ্রামের ২৭টিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৩২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১০ ও গ্রামের ১৫টিতে ভাইরাস চিহ্নিত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ১০৬ জনের নমুনায় শহরের ৪০ ও গ্রামের ১১ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। ল্যাব এইডে ৯টি নমুনার মধ্যে শহরের ৬ ও গ্রামের একটিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৫৭ জন কভিডে আক্রান্ত পাওয়া যায়। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১৯৬টি নমুনায় শহরের ১৪ ও গ্রামের ৩২টিতে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে শেভরনে ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৪১ দশমিক ০৮, চমেকহা’য় ৪৫ দশমিক ১০, চবি’তে ৩০, সিভাসু’তে ৫৪ দশমিক ৩১, আরটিআরএলে ১০ শতাংশ, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৬ দশমিক ৪৬, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৯ দশমিক ১২, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৭ দশমিক ৬৪, ল্যাব এইডে ৭৭ দশমিক ৭৭, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৮ দশমিক ১১, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৪৪ দশমিক ৫৩ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ২৩ দশমিক ৪৭ এবং এন্টিজেন টেস্টে ২৩ দশমিক ২৬ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।