জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ৭২৯ জনের দেহে নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ২৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, নগরীর বারো ল্যাবরেটরি ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল ২ হাজার ৯৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৭২৯ জনের মধ্যে শহরের ৫৩০ ও ১৫ উপজেলার ১৯৯ জন। উপজেলার ১৯৯ জনের মধ্যে রাউজান ও হাটহাজারীতে ৩০ জন করে, পটিয়ায় ২৭, বোয়ালখালীতে ২২, ফটিকছড়ি ও আনোয়ারায় ২০ জন করে, সন্দ্বীপে ১১, রাঙ্গুনিয়ায় ৯, সাতকানিয়া ও বাঁশখালীতে ৭ জন করে, মিরসরাইয়ে ৫ জন, সীতাকু- ও চন্দনাইশে ৪ জন করে, লোহাগাড়ায় ২ জন এবং কর্ণফুলী উপজেলায় একজন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার ৪৪৩ জনে। এর মধ্যে শহরের ৮৭ হাজার ৮০৭ জন এবং গ্রামের ৩২ হাজার ৬৩৬ জন। গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শহরের ২ ও গ্রামের ১ রোগি মারা যান। মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৩৫৮ জন হয়েছে। এতে শহরের ৭৩৩ ও গ্রামের ৬২৫ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস
ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৫৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ২৩৫ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ১৩১ জনের নমুনায় শহরের ৫৩ ও গ্রামের ৩ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১০ ও গ্রামের ৯ টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩১ ও গ্রামের ২৬ জন ভাইরাসবাহক হিসেবে চিহ্নিত হন। বিশেষায়িত কোভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে পরীক্ষিত ৩টি নমুনারই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ৩১৪ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৫৪ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৪৬০টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬৫ ও গ্রামের ১৩টিতে করোনার জীবাণু মিলে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩৮৬ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৬৪ ও গ্রামের ২৭টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৭৬টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২০ ও গ্রামের ২৬টিতে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ২৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১৪ ও গ্রামের ১৭ টিতে ভাইরাস চিহ্নিত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ৯৩ জনের নমুনায় শহরের ২২ ও গ্রামের ৯ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। ল্যাব এইডে পরীক্ষিত একমাত্র নমুনাটির রিপোর্ট পজিটিভ আসে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৭ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৫ টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১৯৮টি নমুনায় শহরের ১০ ও গ্রামের ১৫ টিতে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।
এদিন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনাও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৪১ দশমিক ০৮ শতাংশ, চমেকহা’য় ৪২ দশমিক ৭৫, চবি’তে ১৫ দশমিক ৭০, সিভাসু’তে ৩০ দশমিক ৮১, আরটিআরএলে ০ শতাংশ, এন্টিজেন টেস্টে ১৭ দশমিক ১৯, শেভরনে ১৬ দশমিক ৯৫, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২৩ দশমিক ৫৭, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৬ দশমিক ৬৬, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৩ দশমিক ৩৬, এপিক হেলথ কেয়ার ৩৩ দশমিক ৩৩, ল্যাব এইডে শতভাগ, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২৯ দশমিক ৪১ এবং এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।