জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতিসহ ৯টি পদে জয়ী হয়েছে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ঐক্য পরিষদ। এছাড়া সাধারণ সম্পাদকসহ ১২টি পদে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ভোট গণনা শেষে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে এদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সমিতির মিলনায়তনে ভোট গ্রহণ করা হয়।
৫ হাজার ৩০৯ জন ভোটারের মধ্যে ৪ হাজার ১৪৫ জন ভোট দেন।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ২১টি পদে নির্বাচনে সম্পাদকীয় পদ ১০টি, নির্বাহী সদস্য পদ ১১টি। নির্বাচনে সমন্বয় পরিষদ ও ঐক্য পরিষদের মোট প্রার্থী ছিলেন ৪২ জন। সভাপতি পদে ঐক্য পরিষদের মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী ২ হাজার ৬৮২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমন্বয় পরিষদের মনতোষ বড়ুয়া পেয়েছেন ১ হাজার ৩৯৬ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে সমন্বয় পরিষদের এ এস এম বজলুর রশিদ ২ হাজার ২৮০ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্য পরিষদের মো. হাসান আলী চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৮২৪ ভোট।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে সমন্বয় পরিষদের মো. সেকান্দর চৌধুরী ২ হাজার ৫১৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্য পরিষদের মো. আবদুল কাদের পেয়েছেন ১ হাজার ৫৫৭ ভোট। সহ-সভাপতি পদে সমন্বয় পরিষদের আবদুল হক ২ হাজার ৭৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্য পরিষদের মুহাম্মদ কামরুল হাসান নাজিম পেয়েছেন ২ হাজার ১৯ ভোট।
সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সমন্বয় পরিষদের মোহাম্মদ ইমরান ২ হাজার ১৭৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্য পরিষদের মোহাম্মদ কাশেম কামাল পেয়েছেন ১ হাজার ৮৭১ ভোট। অর্থ সম্পাদক পদে সমন্বয় পরিষদের মোশারফ হোছাইন ২ হাজার ৪১৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্য পরিষদের কাজী মো. আশরাফুল হক আনসারী পেয়েছেন ১ হাজার ৬৯৬ ভোট।
পাঠাগার সম্পাদক পদে সমন্বয় পরিষদের মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২ হাজার ২১৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্য পরিষদের আহমেদ কবির পেয়েছেন ১ হাজার ৮৫৬ ভোট। সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ঐক্য পরিষদের মো. খোরশেদ আলম ২ হাজার ২৬২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জান্নাতুল ফেরদৌস পেয়েছেন ১ হাজার ৮০০ ভোট।
ক্রীড়া সম্পাদক পদে ঐক্য পরিষদের মো. ওমর ফারুক ২ হাজার ১৯৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমন্বয় পরিষদের পিটু কুমার শীল পেয়েছেন ১ হাজার ৮৬৩ ভোট। তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ঐক্য পরিষদের অলি আহমদ ২ হাজার ২১০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমন্বয় পরিষদের অভিজিত ঘোষ পেয়েছেন ১ হাজার ৮৬০ ভোট। এ ছাড়া নির্বাহী সদস্যের ১১টি পদের মধ্যে ৬টিতে সমন্বয় পরিষদ ও ৫টিতে ঐক্য পরিষদ জয় পেয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার রতন কুমার রায় বলেন, নির্বাচনে ঐক্য পরিষদ সভাপতিসহ ৯টি পদ পেয়েছে। সাধারণ সম্পাদকসহ ১২টি পদ পেয়েছে সমন্বয় পরিষদ।
মাইক্রোফোন ধরলেন আইনমন্ত্রী, উকিল আবদুস সাত্তার বললেন ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।