স্পোর্টস ডেস্ক : চট্টগ্রাম টেস্টে ভারতের দেওয়া ৫১৩ রানের টার্গেটের জবাবে ৩২৪ রানেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। এর ফলে ১৮৮ রানে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট ১৮৮ রানে হারলো টাইগাররা।
এর আগে ছয় চার ও ছয় ছক্কায় ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। টেস্ট ম্যাচটি পঞ্চম দিনে যায় জাকির হাসানের সেঞ্চুরির কারণে। ভারতের দেয়া ৫১৩ রানের লক্ষ্যে নামা বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ৩২৪ রানে। প্রথম ইনিংসে দেড়শতে অলআউট হওয়া দল পরেরবার তোলে দ্বিগুনের বেশি রান। যেখানে বড় অবদান রাখেন জাকির ও নাজমুল হোসেন শান্তর ১২৪ রানের ওপেনিং জুটি।
ভারত: ৪০৪ ও ২৫৮/২ (ইনিংস ঘোষণা), বাংলাদেশ: ১৫০ ও ৩২৪
চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ২৭২ রান। সাকিব ৪০ ও মিরাজ ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। শেষ চার উইকেটে যোগ হয় ৫২ রান। যার মধ্যে ৪৪ রানই আসে সাকিবের উইলো থেকে।
৫ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তিন উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ যাদব। আক্সার প্যাটেল নিয়েছেন চার উইকেট। পরের টেস্ট মিরপুরে শুরু হবে ২৪ ডিসেম্বর।
অভিষিক্ত জাকির হাসানের সেঞ্চুরিতে লড়াই জমিয়ে তোলে বাংলাদেশ। তার বিদায়ের পরই আবার বিপদ আসে। অক্ষর প্যাটেল এক ওভারে মুশফিকুর রহিম ও নুরুল হাসান সোহানের উইকেট তুলে নিলে চতুর্থ দিনেই হারের শঙ্কা জাগে। সাকিব ও মিরাজের দৃঢ়তায় শেষ ঘণ্টা ভালো কেটেছে। অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটিতে এসেছে ৩৪ রান।
ওপেনিং জুটিতে বড় কিছুর আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। জুটি ভাঙার পর দ্রুত উইকেট হারালে আবার ব্যাকফুটে চলে যায় দল। নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকিরের জুটি ভাঙে ১২৪ রানে। চতুর্থ দিন লাঞ্চ বিরতির পর উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন শান্ত (৬৭)। তিনে নেমে ইয়াসির আলি চৌধুরী আবারও ব্যর্থ। ৫ রান করে বোল্ড হন এবারও।
দ্রুত ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশের ভরসা হয়ে ওঠেন জাকির। অভিষেক রাঙান প্রত্যয়ী এক সেঞ্চুরিতে। অবশ্য তিন অঙ্ক ছুঁয়েই ফেরেন সাজঘরে। ২১৯ বলে ১৩ চার ও এক ছক্কায় সেঞ্চুরি করেছেন। প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ২০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসেই ছুঁয়ে ফেললেন শতকের গণ্ডি।
তামিম ইকবাল চোটের কারণে টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়ায় ভারতের বিপক্ষে সুযোগ পান জাকির। চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে অভিষেকে এবং ওপেনার হিসেবে অভিষেকে প্রথম সেঞ্চুরি টাইগারদের কোনো ব্যাটারের। ভারতের বিপক্ষে অভিষেকে দ্বিতীয়বার ঘটল এমন ঘটনা।
অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি পাওয়া বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ২০০০ সালে বাংলাদেশ দলেরও অভিষেক টেস্ট ছিল সেটি। ভারতের বিপক্ষে আমিনুল খেলেন ১৪৫ রানের ইনিংস।
পরে ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় মোহাম্মদ আশরাফুল করেন অভিষেকে সেঞ্চুরি। সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেকে সেঞ্চুরির সেই রেকর্ড আজও অক্ষত। খুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১১৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন আবুল হাসান রাজু। অভিষেকে টাইগারদের তৃতীয় সেঞ্চুরি ছিল সেটি।
চা-বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশ তোলে ৩ উইকেটে ১৭৬ রান। বিরতির আগে লিটন দাস সাজঘরে ফেরেন ১৯ করে। কুলদীপ যাদবের বলে সহজ ক্যাচ দেন মিড অনে। তৃতীয় ও শেষ সেশনে উইকেট পড়ে আরও তিনটি। ৫০ বল খেলে মুশফিক করেন ২৩ রান। ৩ বলে ৩ রান করে ফেরেন সোহান।
আগেরদিন ২৫৪ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামা সফরকারীদের টপঅর্ডার দেখায় দৃঢ়তা। ওপেনার শুভমন গিল ও চেতেশ্বর পূজারার সেঞ্চুরিতে ২ উইকেটে ২৫৮ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে লোকেশ রাহুলের দল। বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তৃতীয় দিন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলেছিল ৪১ রান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।