পাইপলাইনে পরীক্ষামূলকভাবে জ্বালানি তেল আসা শুরু করেছে। চট্টগ্রাম থেকে আপাতত নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত জ্বালানি তেল আসছে। অলরেডি ২ কোটি লিটারের বেশি তেল পাইপলাইনে প্রবেশ করানো হয়েছে। চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারি থেকে এ কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে।
পুরো তেল কুমিল্লা পার হতে সময় লেগেছে পাঁচ দিন। বাণিজ্যিকভাবে জ্বালানি তেল কাজে লাগানোর অংশ হিসেবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। জ্বালানি তেল পরিবহন করা শুরু হবে মার্চ এর মধ্যে। রেলপথ, সড়ক পথ ও জলপথ ব্যবহার করে সাধারণত ঢাকায় জ্বালানি তেল পরিবহন করা হয়। এতে করে অনেক সময় অপচয় হয় এবং খরচ বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া এর আগে এভাবে তেল চুরির ঘটনা ঘটে। এজন্য চট্টগ্রাম থেকে কয়েক জেলা পার হয়ে ফতুল্লা পর্যন্ত বিশাল পাইপলাইন পরিকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার, পাইপলাইনে তেল পরিবহনের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। লাইনপ্যাকিং নামের এই পরীক্ষায় পতেঙ্গা ডিপো থেকে ২ কোটি লিটারের বেশি জ্বালানি তেল পাম্প করা হয়েছে। যা কুমিল্লা পার হয়েছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান বলেন, ‘সিঙ্গেল শটে আমাদের চলে আসবে চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জে। নারায়ণগঞ্জ থেকে ফতুল্লা, আমাদের মেঘনা ডিপোটা ফতুল্লায়। কমার্সিয়ালি শুরু হবে মার্চে। অবশ্য যারা কমার্সিয়ালি করবেন, আমরা সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করেছি তাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে, টাইমটা এখনও ঠিক হয়নি। আমরা একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিয়ে আমরা পত্র দিয়েছি।’
বিপিসি জানায়, বছরে ২৭ থেকে ৩০ লাখ টন ডিজেল পরিবহন করা যাবে পাইপলাইনে। এ সক্ষমতা উন্নীত করা যাবে ৫০ লাখ টনে। জনবলের পাশাপাশি পাইপলাইনের নিরাপত্তায় থাকবে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা।
আমিন উল আহসান বলেন, ‘এটা তো ফুটো করতে পারে, তেল চুরির উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কোথাও যদি এরকম করার চেষ্টা করা হয় সেটা কিন্তু কন্ট্রোল রুমে ধরা পড়ে যাবে । কন্ট্রোল রুম থেকে এটা কিন্তু সিগন্যাল দেবে। স্পেসিফিক জায়গাও ওখান থেকে নির্ধারণ করা যাবে।’
প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা পাইপলাইন প্রকল্পে বছরে আয় হবে ৩২৬ কোটি। পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণসহ বিভিন্ন খাতে খরচ হবে ৯০ কোটি টাকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।