বিজনেস ডেস্ক : ফণীর প্রভাব কেটে যাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় ৮৮ সমুদ্রগামী জাহাজে কর্মতৎপরতা বেড়েছে।
গতকাল দুপুরে আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম বন্দরের বিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে। এরপর বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব সতর্কতা সংকেত ‘অ্যালার্ট-৩’ প্রত্যাহার করে নিলে বেলা ২টায় আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যের চালান ছাড়করণের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ শুরু করেন। এতে বন্দরের অচলাবস্থা কাটে।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় জাহাজ থেকে জেটিতে পণ্য ওঠানো-নামানো বন্ধ করে দেয়া হয়। বন্দরের জেটিতে থাকা জাহাজগুলোকে তখন সাগরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর বিশেষ নিরাপত্তা নিতে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় বন্দর চত্বর থেকে ট্রাকে বা কাভার্ড ভ্যানে সব ধরনের পণ্যের খালাস কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর কর্তৃপক্ষ জাহাজ, জেটি, পণ্য ও যন্ত্রপাতির সুরক্ষার জন্য এ পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বণিক বার্তাকে বলেন, ফণীর প্রভাব কেটে যাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের সব পরিচালন কার্যক্রম বেলা ২টা থেকে স্বাভাবিক করা হয়েছে। বন্দর থেকে পণ্যের চালান খালাস করে নিয়ে যাচ্ছেন আমদানিকারকরা। জোয়ার এলে জেটিতে আবার জাহাজ ভেড়ানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। ফলে জাহাজ থেকে জেটিতে পণ্য উঠানো-নামানো কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যমতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৮৮টি সমুদ্রগামী জাহাজ বন্দরের জলসীমায় অবস্থান করছে। এর মধ্যে ছোট আকারের সমুদ্রগামী জাহাজগুলো রাতের জোয়ারে জেটিতে ভিড়েছে। আর সাগর স্থির হলে অপেক্ষাকৃত বড় জাহাজগুলো থেকে বহির্নোঙর থেকেই লাইটার জাহাজের মাধ্যমে পণ্য স্থানান্তরের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুসারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত অনুযায়ী চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর সতর্কতা বা অ্যালার্ট-১ জারি করে। আবহাওয়ার ৪ নম্বর সংকেতের জন্য বন্দর অ্যালার্ট-২ এবং বিপত্সংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য অ্যালার্ট-৩ জারি করা হয়। তবে মহাবিপত্সংকেত ৮, ৯, ১০ হলে বন্দরের পক্ষ থেকে তখন সর্বোচ্চ সতর্কতা বা অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.