সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগ নিয়ে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে খুব শীঘ্রই তা হবে কিনা সেটি বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে কয়েকটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। যখন তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে অংশ নেন তখন তাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দেখা হয়।
এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরে কীভাবে বিনিয়োগ হতে পারে তা নিয়ে পর্যাপ্ত আলোচনা হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তা ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তবে দেশের ভূ-রাজনৈতিক বিষয় মাথায় রেখে বিনিয়োগ কার্যকর করতে হবে।
আরএসজিটিআই হচ্ছে সৌদি আরব ভিত্তিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। তারা চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন। আরো কয়েকটি টার্মিনাল নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে বিদেশী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। এখানে মাতারবাড়ি টার্মিনাল ও বে-টার্মিনাল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের দাভোসে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে আছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি-ওর্য়াল্ড এবং এপি মোলার মেয়ার্স্ক।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, দেশের অর্থনীতির সঙ্গে তাল মেলাতে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করবে তারা। এ ক্ষেত্রে বন্দরের লাভের বিষয়টিও দেখা হবে।
এদিকে বন্দর বিশেষজ্ঞ মো. জাফর আলম বলছেন, বিদেশি বিনিয়োগ আসা কাঙ্খিত হলেও তার বিভিন্ন দিক যাচাই জরুরি। দেশে স্বার্থ নিশ্চিত করেই বিনিয়োগ প্রস্তাব গ্রহণ করতে হবে। সম্প্রতি দেশের বন্দরের উন্নয়নে ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি’ প্রণয়নে জাইকার সহযোগিতা চেয়েছে নৌ মন্ত্রণালয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।